রানির ভাষণের কেন্দ্রে ব্রেক্সিট
---
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ব্রিটিশ রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ তার ভাষণে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়ার প্রস্তাবিত ‘সহজ ও শৃঙ্খলিত’ একগুচ্ছ আইন ঘোষণা করেছেন।
বুধবার ব্রিটিশ পার্লামেন্টে দেওয়া তার এই ভাষণে সরকারের ভবিষ্যৎ নীতি ও পরিকল্পনা তুলে ধরা হয়েছে। রানির ভাষণে ২৪টি বিলের কথা বলা হয়েছে, যার মধ্যে আটটি ব্রেক্সিটের সঙ্গে সম্পর্কিত। নতুন সরকার রানির এই ভাষণের আলোকে দেশ পরিচালনা করবে।
একটি বিলে ইইউর নীতিনিয়ম যুক্তরাজ্যের আইনে পরিণত করার কথা বলা হয়েছে। এতে বাণিজ্য, শুল্ক, অভিবাসন, মৎস্য ও কৃষিখাত, পরমাণু শক্তি এবং অবরোধবিষয়ক আইনগুলো অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে।
তবে আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু রানির ভাষণে উঠে আসেনি। এর কারণ পার্লামেন্টে থেরেসা মের কনজারভেটিভ পার্টির সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানো।
রানির ভাষণে ব্রেক্সিটের বাইরে যেসব উল্লেখযোগ্য বিল এসেছে, তার মধ্যে রয়েছে-
১। সিভিল লায়াবিলিটি বিল : ইনস্যুরেন্সের দাবি মেটাতে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়ে এতে বলা হয়েছে।
২। ডমেস্টিক ভায়োলেন্স ও অ্যাবিউজ বিল : ডমেস্টিক ভায়োলেন্স ও অ্যাবিউজ কমিশনার নিয়োগ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে এতে। সহিংসতার শিকার ও ভুক্তভোগীদের বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবেন তিনি।
৩। হাই-স্পিড টু বিল : বার্মিংহাম থেকে ক্রিউ পর্যন্ত রেল লিংকের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজের কর্তৃপক্ষ ঠিক করতে বলা হয়েছে এতে।
৪। ডেটা প্রটেকশন বিল : ব্যক্তির অধিকার রক্ষার কথা বলা হয়েছে এতে।
৫। আর্মড ফোর্সেস বিল : এই বিলে নাগরিকদের সশস্ত্র বাহিনীতে খণ্ডকালীন ও সহজ শর্তে কাজ করার সুযোগের কথা বলা হয়েছে।
রানি তার ‘স্টেট ওপেনিং অব পার্লামেন্ট’ ভাষণে আগামী দুই বছরের জন্য যুক্তরাজ্যের নতুন সরকারের পরিকল্পনা তুলে ধরেছেন। এ সময় তার পাশে ছিলেন রানির ছেলে প্রিন্স অব ওয়েলস (প্রিন্স চার্লস)। তার স্বামী ডিউক অব এডিনবরা প্রিন্স ফিলিপ হাসপাতালে ভর্তি হওয়ায় প্রিন্স চার্লস রানির সঙ্গে আসেন।
প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে সবাইকে নিয়ে সরকার পরিচালনার কথা বলেছেন। ডেমোক্র্যাটিক ইউনিয়নিস্ট পার্টির সঙ্গে চুক্তির শেষ পর্যায়ে রয়েছে কনজারভেটিভ পার্টি (টরি পার্টি)। টরি মন্ত্রীরা আশাবাদী, তারা দায়িত্বে বহাল থাকছেন।