মঙ্গলবার, ৪ঠা জুলাই, ২০১৭ ইং ২০শে আষাঢ়, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

গর্ভধারণে বিলম্ব কি ক্ষতি করতে পারে?

AmaderBrahmanbaria.COM
জুলাই ২, ২০১৭

---

 

লাইফস্টাইল ডেস্ক : আজ, বেশিরভাগ দম্পতি ৩৫ বছরের পর গর্ভধারণের পরিকল্পনা করে থাকেন। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা এই প্রবণতা সম্পর্কে উদ্বিগ্ন কারণ তারা মনে করেন এটি সত্যিই নিরাপদ নয়।

তবে আজ জগতের জীবনধারা পরিবর্তিত হয়েছে এবং বিয়ের ঠিক পরেই সন্তান ধারণ করতে অনেক দম্পতিই নারাজ। কিন্তু ৩৫ বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করলে ক্ষতি কি? এখানে কিছু সমস্যার কথা আলোচনা করা হল যা গর্ভধারণে দীর্ঘ সময় অপক্ষা করলে সম্মুখীন হতে পারেন।

সমস্যা ১: বছর যত গড়াবে, ডিম্বাশয়ের ডিমগুলি কমে যাবে এবং আপনি যখন চান তখন আপনার গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা হ্রাস পাবে।

সমস্যা ২: ৩০ এর পরে নারীরা কম পরিমাণে ডিম্বাণু উৎপাদন করে থাকেন| এই সমস্যাটি এমনকি অরক্ষিত মিলনেও সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়।

সমস্যা ৩: বয়সের সাথে, অন্যান্য সমস্যা (অবরুদ্ধ ফলোপিয়ান টিউব, এন্ডোমেট্রিয়োসিস) আপনার গর্ভাবস্থাকে প্রতিরোধ করতে পারে।

সমস্যা ৪: আপনি যদি দেরীতে গর্ভধারনের পরিকল্পনা করেন তবে শিশুর জন্মগত ত্রুটির সম্ভাবনা বেড়ে যেতে পারে। যদি ৪৫ বছরের পরে গর্ভবতী হন তবে জন্মগত ত্রুটির সম্ভাবনা ৩০ এর মধ্যে ১ জন তবে ৩০ বছরের মধ্যে যদি গর্ভধারণ হয়, তা ১০০০ এর মধ্যে ১ সম্ভাবনা; যার অর্থ অল্প বয়সে সুস্থ শিশুর জন্মের সম্ভাবনা বেশি থাকে।

সমস্যা ৫: গর্ভপাতের সম্ভাবনা ও মৃত সন্তান প্রসবের সম্ভাবনা আপনার বয়স বাড়ার সাথে বৃদ্ধি পেতে পারে।

সমস্যা ৬: একটি নির্দিষ্ট বয়সের পরে প্রসব বেদনা (এবং এটির সাথে সম্পর্কিত যন্ত্রনা) সহ্য করা কঠিন হবে।

সমস্যা ৭: ৩৫ বছরের পর পুরুষ ও মহিলা উভয় ক্ষেত্রেই উর্বরতা সংক্রান্ত সমস্যার বৃদ্ধির হার বাড়তে পারে। এই জন্যই আপনার ও আপনার সঙ্গীর বয়স অল্প থাকতেই প্রথম সন্তানের পরিকল্পনা করে ফেলা উচিত।

সমস্যা ৮: শেষ এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয়; আপনার বয়স যত বাড়বে গর্ভধারণ বিলম্ব করলে সন্তান পালনের বিষয়টি কঠিন হয়ে উঠতে পারে।

এ জাতীয় আরও খবর