ফখরুলের ওপর হামলা দুঃখজনক : হাছান মাহমুদ
---
নিজস্ব প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ রাঙ্গুনিয়ায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ওপর হামলা দুঃখজনক, অনভিপ্রেত এবং একইসঙ্গে রহস্যজনক বলে মন্তব্য করে এ ঘটনা নিয়ে নোংরা রাজনীতি না করার অনুরোধ করেছেন।
সোমবার শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট, কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে ‘সত্যিকারের মুসলমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান : খালেদা জিয়ার হুমকি-ধমকি ও বর্তমান প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, এই হামলার ঘটনা রহস্যজনক। মির্জা ফখরুলের গাড়িবহরে চট্টগ্রাম বিএনপির একটি অংশ ও রাঙ্গুনিয়ার সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর গ্রুপের কেউ ছিল না। প্রশাসনের কাছে যে পথে যাওয়ার অনুমতি নিয়েছিলেন সে পথ পরিবর্তন করে অন্য পথে যাচ্ছিলেন। চট্টগ্রামের যত জায়গায় তাদের কর্মিসভা হয়েছিল সব সভায় মারামারি হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, পাহাড় ধসের ঘটনার পর উদ্ধার তৎপরতা, চিকিৎসা ব্যবস্থা ও ত্রাণ সরবরাহসহ যখন সব কার্যক্রমব প্রায় শেষ তখন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীরা গাড়িবহর নিয়ে ত্রাণ সরবরাহ করতে রাঙামাটি যাচ্ছিলেন। পথে তাদের গাড়িবহরের গাড়ির ধাক্কায় দুইজন পথচারী গুরুতর আহত হলে স্থানীয় জনতা উত্তেজিত হলে বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে দুঃখজনকভাবে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
তিনি বলেন, গত সপ্তাহে চট্টগ্রাম অঞ্চলে অতিবৃষ্টির কারণে ভূমিধসে দেড় শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়। স্থানীয় প্রশাসন ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা উদ্ধার তৎপরতা, চিকিৎসা ব্যবস্থা ও ত্রাণ সরবরাহ করেছে। যা এখনও চলছে। ঘটনার এতদিন পরে বিএনপি নেতাকর্মীরা কি ত্রাণ দিতে গিয়েছিলো নাকি একটি ঘটনা ঘটিয়ে সংবাদ তৈরির অপচেষ্টা করার জন্য গিয়েছিল। এ ঘটনার অজুহাত দেখিয়ে তারা চট্টগ্রাম শহরে চলে আসে। সেখানে তারা সংবাদ সম্মেলন করে।
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতি জোটের কার্যকরি সভাপতি অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের (স্বাশিপ) সাধারণ সম্পাদক শাহাজাহান আলম সাজু, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রানা, মানবাধিকার কর্মী ফেরদৌস খান আলমগীর, আওয়ামী লীগ নেতা জাফর আহমেদ জয়, এমএ করিম, বাংলাদেশ আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান দুর্জয় প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে এটিএম শামসুজ্জামান বলেন, জেনারেল জিয়াউর রহমান ছিল বাই চান্স মুক্তিযোদ্ধা। সে পাকিস্তানের আইএসআই-এর এজেন্ট হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিল। তিনি খালেদা জিয়ার উদ্দেশ্যে বলেন, জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে খালেদা জিয়া আবোল-তাবোল প্রলাপ বকছেন। আগামী নির্বাচনে বিএনপি ৩০টি আসনের বেশী পাবে কি না সন্দেহ এবং খালেদা জিয়া নিজেই নির্বাচিত হতে পারবেন কিনা সন্দেহ আছে।