সোমবার, ১০ই জুলাই, ২০১৭ ইং ২৬শে আষাঢ়, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

দেশীয় তুলা চাহিদা মেটায় মাত্র আড়াই শতাংশ

AmaderBrahmanbaria.COM
জুলাই ৮, ২০১৭

---

 

নিজস্ব প্রতিবেদক : চলতি মৌসুমে (২০১৭-২০১৮) তুলা উন্নয়ন বোর্ড সারাদেশে ৪৫ হাজার হেক্টরে তুলা চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করেছে। আর তুলা উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে এক লাখ ৭২ হাজার বেল। দেশে গার্মেন্টস শিল্পের ব্যাপক প্রসারের কারণে প্রতি বছর তুলার চাহিদা বাড়ছে। তবে তুলার চাহিদা বৃদ্ধির সঙ্গে তাল মিলিয়ে উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে না। বর্তমানে দেশে তুলার বার্ষিক চাহিদা ৬০ লাখ বেল। পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেশে উৎপাদিত তুলায় বার্ষিক চাহিদার মাত্র ২ দশমিক ৬০ ভাগ পূরণ হয়।

তুলা উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে (২০১৭-১৮) যশোর জোনে তিন হাজার ২শ হেক্টরে সমভূমির তুলা চাষ করে ১৮ হাজার ৮২ বেল তুলা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে। ঝিনাইদহ জোনে তুলা চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে চার হাজার ৩শ হেক্টরে। তুলার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২৪ হাজার ৪৩২ বেল। রাজশাহী জোনে ২৫শ হেক্টরে তুলা চাষ করে ১৪ হাজার ২০৫ বেল তুলা উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা জোনে চার হাজার ৩শ হেক্টরে তুলা চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে।

অন্যদিকে বগুড়া জোনে ১৯শ হেক্টরে তুলা চাষ করে ১০ হাজার ৭৯৬ বেল তুলা উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে। কুষ্টিয়া জোনে তুলা চাষ লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে চার হাজার ৩শ হেক্টরে। রংপুর জোনে ২৩শ হেক্টরে তুলা চাষ করে ১৩ হাজার ৬৮ বেল তুলা উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে। ঠাকুরগাঁ জোনে ১৪শ হেক্টরে তুলা চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে। ময়মনসিংহ জোনে ১৮শ হেক্টরে তুলা চাষ করে ১০ হাজার ২২৭ বেল তুলা উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে।

এছাড়া ঢাকা জোনে তুলা চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে ১৪শ হেক্টরে। তিন পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি জেলায় ৬শ হেক্টরে সমভূমির তুলা চাষ করে ২২শ ৭৪ বেল তুলা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে। এছাড়া তিন পার্বত্য জেলায় ১৭ হাজার হেক্টরে পাহাড়ি জাতের তুলা চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে। পাহাড়ি জাতের তুলার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪ হাজার ৪৩ বেল।

তুলা উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানিয়েছে, গত অর্থবছরে (২০১৫-১৬) সারাদেশে ২৫ হাজার ৯৬০ হেক্টরে সমভূমি ও ১৬ হাজার ৮৯০ হেক্টরে পাহাড়ি জাতের তুলা চাষ করা হয়েছিল। তুলা উৎপাদন হয়েছিল এক লাখ ৫৬ হাজার ৫০৯ বেল।

তুলা উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী পরিচালক ড. মো. ফরিদ উদ্দিন জানান, তুলার উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য হাইব্রিড জাতগুলোর চাষ প্রচলন করা হচ্ছে। বর্তমানে তুলার হেক্টর প্রতি উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। কম জমিতে চাষ করে বেশি ফলন হয় এমন সব জাত চাষ করা হচ্ছে। বর্তমান বিঘা প্রতি ১৫-১৬ মণ পর্যন্ত ফলন হচ্ছে বলে তিনি জানান।

আমন ধান কাটার পর ওই জমিতে স্বল্প মেয়াদি তুলা চাষের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। চাষ করা হবে সাথী ফসলের। এ জন্য বিদেশ থেকে নতুন জাত আনা হচ্ছে। এছাড়াও বরিশাল অঞ্চলে আমন ধান কাটার পর পতিত জমিতে তুলা চাষের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।