বুধবার, ১২ই জুলাই, ২০১৭ ইং ২৮শে আষাঢ়, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

যে সব ক্ষেত্রে ডাবের পানি ক্ষতিকর

AmaderBrahmanbaria.COM
জুলাই ৮, ২০১৭
news-image

---

ডাব। উপকারি ফল। এতো গুণ থাকা সত্ত্বেও ডাবের পানির কিছু ক্ষতিকর দিকও আছে। ডাবের পানি সব বয়সের মানুষের প্রিয় একটি পানীয়। ডাবের পানিতে এমন কিছু অত্যাবশ্যকীয় উপাদান থাকে যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। যারা ওজন কমাতে চান , হজমের সমস্যার উন্নতিতে, উজ্জ্বল ত্বক পেতে এবং গরমের সময়ে হাইড্রেটেড থাকতে সাহায্য করে, রক্তচাপ কমায়, রক্ত সংবহনের উন্নতি ঘটায় এবং আরো অনেক কাজ করে। হ্যাঁ, এতো সব উপকারিতা সত্ত্বেও ডাবের পানির কিছু ক্ষতিকর দিক ও আছে যা জেনে অবাক হতে হয়। নিচে তা উল্লেখ করা হলো

১. রক্তচাপ বৃদ্ধি করে : উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্য ডাবের পানি উপযুক্ত পানীয় নয়। ডাবের পানিতে সোডিয়াম থাকে বলে রক্তচাপ বৃদ্ধি করতে পারে। ইউএস ডিপারটমেন্ট অফ এগ্রিকালচার এর মতে, ১ কাপ তাজা নারিকেল পানিতে ২৫২ মিলিগ্রাম সোডিয়াম থাকে।

২. ক্রীড়াবিদদের জন্য উপযুক্ত পানীয় নয় : ডাবের পানিতে সোডিয়ামের তুলনায় উচ্চমাত্রার পটাসিয়াম থাকে যা ক্রীড়াবিদদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পটাসিয়ামের উচ্চমাত্রা কখনো কখনো বিষাক্ত হতে পারে, যার কারণে পটাসিয়াম সম্পর্কিত সমস্যা – হাইপারকেলেমিয়া হয়। এর ফলে কিডনির সমস্যা তৈরি হয় এবং হৃদস্পন্দন অস্বাভাবিক হয়। তাই ক্রীড়াবিদেরা এই পানীয় পান না করাই ভালো।

৩. তাজা ডাবের পানি পান করা উচিৎ : ডাব কাটার পর সঙ্গে সঙ্গেই ডাবের পানি পান করা উচিৎ। দীর্ঘ সময় ডাবের পানি রেখে দেয়া হলে এর পুষ্টি উপাদান নষ্ট হয়ে যায় বলে এটি আর স্বাস্থ্যকর পানীয় থাকেনা।

৪. রক্তের চিনির মাত্রা বৃদ্ধি করে : ডাবের পানির কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ কম থাকে কিন্তু তারপরও এটি ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য উপকারী পানীয় নয়। এই মিষ্টি স্বাদের পানীয়টি রক্তের চিনির মাত্রা বৃদ্ধি করতে পারে। ১ কাপ নারিকেল পানিতে ৬.২৬ গ্রাম বা ১.৫ চামচ চিনি থাকে।

৫. অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া : অনেকেরই ডাবের পানির প্রতি অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়া হয়। তারা যদি ডাবের পানি পান করেন তাহলে তাদের শরীরে র‌্যাশ হয়, চোখে পানি আসে, হাঁচি আসে বা ত্বক লাল হয়ে যায়। ২০০৬ সালে ইউ এস ফুড এন্ড ড্রাগ এডমিনিস্ট্রেশন নারিকেলকে ট্রি নাট হিসেবে শ্রেণী বিন্যস্ত করে। তাই যাদের ট্রি নাট অ্যালার্জি আছে তাদের ডাবের পানি এড়িয়ে যাওয়াই ভালো।

৬. ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য উপযুক্ত নয় : যদিও ওজন কমানোর জন্যই অনেকে ডাবের পানি পান করেন কিন্তু অতিরিক্ত ওজনের বা স্থূলতার সমস্যায় আক্রান্তদের জন্য এটি উপযুক্ত পানীয় নয়।

৭. শরীর থেকে গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান কমে যায় : অতিরিক্ত ডাবের পানি পান করার ফলে শরীর থেকে গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান বের হয়ে যায় প্র¯্রাবের মাধ্যমে। এর ফলে ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্যহীনতা তৈরি হয় যা কিডনির ক্ষতির কারণ হতে পারে।

৮. ল্যাক্সেটিভ প্রভাব : ডাবের পানি প্রাকৃতিক ল্যাক্সেটিভ বা রেচক হিসেবে কাজ করে। যাদের অন্ত্রের কাজ বা বাউয়েল মুভমেন্ট ঠিকভাবে হয় না তাদের জন্য এটি উপযুক্ত পানীয় নয়।