বুধবার, ১২ই জুলাই, ২০১৭ ইং ২৮শে আষাঢ়, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

ঈদের টুপি বানাতে ব্যস্ত বগুড়ার নারীরা

AmaderBrahmanbaria.COM
জুন ৭, ২০১৭
news-image

---

লাইফস্টাইল ডেস্ক : বগুড়ার তৈরি বাহারি টুপিতে ঈদের নামাজ হবে দেশ এবং দেশের বাইরে। সেজন্য এখানকার কারিগররা বিভিন্ন রকমের বাহারি টুপি তৈরি করতে দিনরাত মহাব্যস্ত সময় অতিবাহিত করছে।

ধুনট উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে টুপি সেলাই করার এসব দৃশ্য। এক সময় যেসব গ্রামবাংলার নারীরা সংসারের কাজ কর্ম সেরে দিনের বেশির ভাগ সময় ঘরে বসে থাকতেন। কিংবা পাড়া প্রতিবেশীদের সঙ্গে গল্প গুজবে সময় কাটাতেন।

এখন তারা টুপি সেলাইয়ের কাজে এতটাই ব্যস্ত যে করো সঙ্গে কথা বলার সময় টুকুও নেই। তবে এই ব্যস্ততা ঈদের আগে আরো বেড়ে গেছে। টুপি তৈরির কাজে শুধু গৃহবধূরাই ব্যস্ত নয়, স্কুল-কলেজের মেয়েরাও টুপি সেলাইয়ের কাজে এখন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। ঘরে বসে বাড়তি আয় করছেন।

চালাপাড়া গ্রামের পাইকারি টুপি ব্যবসায়ী বাচ্চু মিয়া জানান, প্রতি সপ্তাহে গ্রামে গ্রামে গিয়ে সুতা ও ক্রুসকাটা সরবরাহ করতে হয়। পরের সপ্তাহে সেলাই করা টুপি কিনে আনি। প্রতি টুপির দাম প্রকার ভেদে ২০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত।

তিনি আরো জানান, আগে শুধু এক ডিজাইনের টুপি তৈরি হতো। কিন্তু এখন সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বর্তমানে পোশাকের যেমন বাহারি নাম করণ হয়েছে। তেমনি টুপিরও বাহারি নাম ও ডিজাইন দেয়া হয়েছে। যেমন- নব্বইফুল, কলারফুল, বকুলফুল, তালাচাবি, স্টার, গুটি, বিস্কুট, আনারস, মৌচাক ও মাকড়াশার জাল। ডিজাইন ভেদে সবচেয়ে বেশি দাম নব্বইফুল ও আনারস টুপির। নব্বইফুল টুপির দাম ৯০ থেকে ১০০ টাকা, আনারস টুপি ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, মৌচাক ২৮ থেকে ৩০ টাকা, মাকড়াশার জাল ২০ থেকে ২৫ টাকা, বিস্কুট ২৫ থেকে ৩০ টাকা।

স্থানীয় এসব ব্যবসায়ীরা গ্রামের নারীদের সেলাই করা টুপি কিনে নিয়ে ঢাকার চকবাজার, বাইতুল মোকারম মসজিদ মার্কেটসহ রাজধানীর বিভিন্ন মার্কেটে বিক্রি করেন। সেখান থেকে গ্রামের নারীদের তৈরি করা টুপি রপ্তানি হয় মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন মুসলিম রাষ্ট্রে। ধুনটের নারীদের তৈরি টুপি সেলাই প্রকল্প একটি শিল্পে পরিণত হয়েছে। বর্তমানে ধুনট ডেভেলপমেন্ট সেন্টার ফর পুওর পিপল্স (ডিসিপি) নামের একটি বেসরকারী সংস্থা টুপি সেলাই প্রকল্পটি তত্ত্বাবধায়ন করছে এবং সহজ শর্তে বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে সহযোগিতা করছে।

এ জাতীয় আরও খবর