টার্গেট বাংলাদেশ: সীমান্তে গড়ে উঠেছে মাদকের কারখানা
---
নিউজ ডেস্ক : বাংলাদেশকে টার্গেট করে দিনাজপুর হাকিমপুরের হিলি স্টেশনের ওপারে সীমান্ত আশপাশের লোকালয়ের বাসাবাড়িতে গড়ে উঠেছে অন্তত অর্ধশত ফেনসিডিলের কারখানা। উত্তরের চোরাচালানের এই পথে প্রতিদিন অর্ধলক্ষ বোতল ফেনসিডিল বাংলাদেশে ঢুকছে বলে সংশ্লিষ্টদের ধারণা।
জানা গেছে, রাতের আঁধারে সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে, সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়ার ফোকর দিয়ে, আবার কখনো বেড়ার উপর দিয়ে ছুড়েও এসব নকল ও ভেজাল ফেনসিডিল বাংলাদেশে ঢুকছে। এর আগে বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধে সীমান্ত এলাকার ফেনসিডিল কারখানাগুলো গুঁড়িয়ে দেয় ভারত সরকার। এরপর থেকে মাদক মাফিয়ারা নিজ বাড়িতেই গড়ে তোলে ফেনসিডিল কারখানা।
বাংলাদেশের দিনাজপুরের হিলি ও জয়পুরহাটের সঙ্গে ভারতের প্রায় ৭২ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্তের ওপারে এসব ফেনসিডিল তৈরির কারখানা রয়েছে। বিজিবির তৎপরতার কারণে দিনের বেলায় বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ফেনসিডিল প্রবেশ করতে পারছে না। তবে রাতের আঁধারে বস্তায় বস্তায় ঢুকছে ফেনসিডিল। অপরদিকে অভিযোগ রয়েছে, বিএসএফের সামনে দিয়ে তারা ফেনসিডিল সীমান্তে নিয়ে এলেও তাদের খুব একটা মাথাব্যথা নেই কারণ যে ফেনসিডিল তৈরি হয় তা শুধু বাংলাদেশের জন্যই।
বাংলাদেশের মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, ফেনসিডিলের এমন চাহিদা যে, ভেজাল ফেনসিডিলই হু হু করে বিক্রি হয়ে যায়। ভারতীয় মাদক ব্যবসায়ীরা এই সুযোগে এখন ভেজাল ফেনসিডিল বিক্রি করছে।
সীমান্ত বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, শুধু বাংলাদেশকে টার্গেট করে কারখানাগুলো বানানো হচ্ছে ১০০ মিলিমিটারের বোতলের পাশাপাশি ৫০ মিলিমিটার বোতলও। ফেনসিডিল পাওয়া যাচ্ছে। বোতলের গায়ে হিমাচল, বেঙ্গালুরু, কলকাতা ও লক্ষ্নৌ লেখা থাকলেও মূলত এগুলো স্থানীয়ভাবেই তৈরি। ১০০ মিলিলিটারের এক বোতল ফেনসিডিলের দাম ৬৫ থেকে ৭২ রুপি এবং ৫০ মিলিলিটারের দাম ৩৫ থেকে ৩৭ রুপি। পাচার হয়ে আসার পর ১০০ মিলিলিটার ফেনসিডিল এলাকাভেদে ৫০০ থেকে হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ঢাকায় বিশেষ দিনগুলোতে এক বোতলের দাম ওঠে ১৫শ থেকে ১৮শ টাকা।
বাংলাদেশ সীমান্তে এসব ফেনসিডিল পাচার হয়ে আসার বিভিন্ন কৌশলে বিরামপুর, ঘোড়াঘাট, গোবিন্দগঞ্জ, জয়পুরহাট ও বগুড়া রুট ব্যবহার করে টাঙ্গাইল, গাজীপুর ও ঢাকায় পাঠাচ্ছে বলে জানা গেছে।
এদিকে দিনাজপুর জেলা পুলিশের তালিকায় মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে এক হাজার ৬৩২ জনের নাম থাকলেও পুলিশের আহবানে মাত্র ৪০০ জন মাদক ব্যবসায়ী আত্মসমর্পণ করলেও রাঘববোয়ালরা রয়ে গেছে ধরাছোঁয়ার বাইরে।প্রিয়.কম