আশুগঞ্জ ফিরোজ মিয়া কলেজ সরকারীকরণে সম্পত্তি হস্তান্তর অনুষ্ঠিত
---
আশুগঞ্জ প্রতিনিধি॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ সদরের উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ফিরোজ মিয়া কলেজ সরকারীকরণ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে কলেজের স্থাবর-অস্থাবর দলিল সম্পাদন হস্তান্তর অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার দুপুরে কলেজের অধ্যক্ষের কার্যালয়ে কলেজ প্রতিষ্ঠাতা ও গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ ফিরোজ মিয়া নিজ হাতে মহামান্য রাষ্ট্রপতির পক্ষে, সচিব, শিক্ষামন্ত্রণালয়, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অনুকূলে ১৬ কোটি ৮২ লক্ষ টাকা মূল্যমানের স্থাবর, অস্থাবর সম্পত্তি দানপত্র দলিল উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমিরুল কায়ছার, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আবুল হোসেন, সাব-রেজিস্ট্রার মোঃ শহীদুল ইসলাম মাধ্যমে হস্তান্তর করেন।
হস্তান্তর অনুষ্ঠানে কলেজ প্রতিষ্ঠাতা ও গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ ফিরোজ মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমিরুল কায়ছার, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আবুল হোসেন, সাব-রেজিস্ট্রার মোঃ শহীদুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগ নেতা কাজী জহির উদ্দিন সিদ্দীক টিটু, কলেজ গভনিং বডির সদস্য আবু জামাল, শাহজাহান, ডাঃ ফাইজুর রহমান, কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রার্প্ত) মজিবুর রহমান জিন্নাহ, উপাধক্ষ্য আহমদ উল্লাহ খন্দকার, শিক্ষক প্রতিনিধি অধ্যাপক শরীফুল ইসলাম মিলন, শিক্ষক সম্পাদক অধ্যাপক আলহাজ্ব মোঃ মিজানুর রহমান, ইতিহাস বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও কলেজ জাতীয়করন বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক মোহাম্মদ কামাল হোসেন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক মোঃ এমদাদুল হক। এ সময় কলেজ গভর্নিং বডির সদস্যবৃন্দ, দাতাবৃন্দ, অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, বিভাগীয় প্রধানগণ, শিক্ষক প্রতিনিধিবৃন্দ ও শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। ১৯৯২ সালে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে পাঠদানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষা কার্যক্রম। তখন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থী ছিল ১শ ২৩ জন। উচ্চ মাধ্যমিক স্তর চালুর পর দীর্ঘ ২৫ বছরে কলেজটিতে সংযোজন হয়েছে কারিগরি, ডিগ্রি পাস কোর্স ও ৫টি বিষয়ে অনার্স কোর্স। বর্তমানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা রয়েছে আড়াই হাজারের মতো। কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় এ কলেজ থেকে শিক্ষা গ্রহন করে উচ্চ শিক্ষিত হয়ে কলেজের শিক্ষার্থীরা নানা পেশায় সরকারী উচ্চতর পদে কর্মরত হয়েছেন এবং প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। আশুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি ও বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী আলহাজ্ব মোঃ ফিরোজ মিয়া প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠা করেন।
উল্লেখ্য, সারাদেশে ২৫০ টি বেসরকারী কলেজের সাথে আশুগঞ্জের ফিরোজ মিয়া কলেজকে সরকারীকরণের প্রক্রিয়ার বিভিন্ন ধাপের মধ্যে কলেজের সম্পত্তি সরকারের নামে হস্তান্তরকরণ প্রক্রিয়ার ধাপ অন্যতম। ইতোপূর্বে বিভিন্ন ধাপের মধ্যে সরকারী পরিদর্শনের কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। অন্যান্য ধাপ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
কলেজ প্রতিষ্ঠাতা ও গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ ফিরোজ মিয়া জানান, বর্তমান সরকার কলেজটি সরকারীকরনে জন্য সিদ্ধান্ত নেয়ায় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা, শিক্ষা মন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ এমপি, পার্বত্য চট্রগ্রাম বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবকলীগের সহ-সভাপতি ও জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক মঈন উদ্দিন মঈনসহ সংশ্লিষ্ট সকলের নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ মজিবুর রহমান জানান, বর্তমান সরকারের বাস্তবায়নাধীন কলেজ সরকারীকরণের সকল প্রক্রিয়া দ্রুত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করে অচিরেই আশুগঞ্জ বাসীর দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন ফিরোজ মিয়া কলেজটি সরকারীকরনের আকাংখার প্রতিফলন ঘটবে বলে তিনি আশাবাদী।