শুক্রবার, ২৭শে জানুয়ারি, ২০১৭ ইং ১৪ই মাঘ, ১৪২৩ বঙ্গাব্দ

তারেক রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

AmaderBrahmanbaria.COM
জানুয়ারি ২৬, ২০১৭

নিজস্ব প্রতিবেদক : জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জামিন বাতিল করে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার পুরান ঢাকার বকশীবাজারস্থ কারা অধিদপ্তরের প্যারেড মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী ঢাকার তিন নম্বর বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদারের আদালত এআদেশ দেন।

মামলাটিতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আগামী ৩০ জানুয়ারি আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। অন্যথায় তার জামিন বাতিল করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির ডাকা হরতালে নিরাপত্তার কারণে এবং শারীরিক অসুস্থতার কারণে খালেদা জিয়া আদালতে হাজির হতে পারেননি। এজন্য তার আইনজীবী আব্দুর রেজ্জাক খান তার পক্ষে সময়ের আবেদন করেন। মামলার আসামি তারেক রহমান চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে থাকায় আদালতে হাজির হতে পারেননি জানিয়ে তার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া সময়ের আবেদন করেন।

দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল এর বিরোধিতা করে বলেন, ‘সময় আবেদন যেন আসামিপক্ষের আইনজীবীদের ট্রেডিশন হয়ে গেছে। আমরা আবেদন করছি সময়ের আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যু করা হোক।’

উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক খালেদা জিয়ার পক্ষে সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে তারেক রহমানের আবেদনটি নামঞ্জুর করে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

এর আগে গত ১২ জানুয়ারি খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানসহ জামিনে থাকা চার আসামির আত্মপক্ষ সমর্থনের শুনানি করতে বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়।

এ মামলায় জামিনে থাকা দুই আসামি প্রাক্তন এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ আদালতে হাজির ছিলেন। বৃহস্পতিবার তারা আত্মপক্ষ শুনানি করেন। আত্মপক্ষ শুনানিতে তারা নিজেদের সম্পূর্ণ নির্দোষ দাবি করেন। সাফাই সাক্ষী দেবেন কি না, আদালতের এমন প্রশ্নের জবাবে শরফুদ্দিন আহমেদ সাফাই সাক্ষী দেবেন বলে জানান। সালিমুল হক কামাল সাফাই সাক্ষী দেবেন না বলে আদালতকে জানান। সালিমুল হক কামাল আত্মপক্ষ শুনানিতে একটি লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। আর শরফুদ্দিন আহমেদ দুই পাতা কম্পিউটারের কম্পোজকৃত লেখা আদালতে জমা দেন।

প্রসঙ্গত, এতিমদের জন্য বিদেশ থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে জিয়া অরফানেজ মামলাটি দায়ের করে দুদক। ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় এই মামলাটি দায়ের করা হয়।

২০০৯ সালের ৫ আগস্ট দুদক আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। মামলাটিতে খালেদা জিয়াসহ অপর আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ তৎকালীন বিচারক বাসুদেব রায় অভিযোগ গঠন করেন।

অভিযোগপত্রে খালেদা জিয়া, তার বড় ছেলে তারেক রহমান, প্রাক্তন এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রাক্তন সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমানকে আসামি করা হয়।

আসামি তারেক রহমান সরকারের নির্বাহী আদেশে দেশের বাইরে আছেন। মাগুরার প্রাক্তন এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ জামিনে আছেন। ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান মামলার শুরু থেকেই পলাতক।