২১শে ডিসেম্বর, ২০১৬ ইং, বুধবার ৭ই পৌষ, ১৪২৩ বঙ্গাব্দ


বঙ্গবন্ধু এয়ারপোর্ট হবে পদ্মাপাড়েই


Amaderbrahmanbaria.com : - ১৯.১২.২০১৬

নিজস্ব প্রতিবেদক : পদ্মার পাড়েই হবে নতুন বিমানবন্দর, যার নাম হবে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর’। এখন চলছে সম্ভাব্যতা সমীক্ষার কাজ, যা ২০১৭ সালের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা৷

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেন, নতুন বিমানবন্দরটি হতে আরো কিছু সময় লাগবে৷ এখন চলছে‘ফিজিবিলিটি স্টাডি’। জাপানি একটি প্রতিষ্ঠান এক মাস আগে এই কাজ শুরু করেছে। তাদের ১৮ মাস সময় দেয়া হয়েছে৷

নতুন বিমানবন্দরের প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, বর্তমানে যে বিমানবন্দরটি আছে, ২০১৮ সালের মধ্যেই সেটির কার্যক্ষমতা অনেকাংশে হারিয়ে যাবে৷ এই কারণে নতুন বিমানবন্দরের প্রয়োজন।

বিমান মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা গেছে, স্থান নির্ধারণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর প্রকল্পের বিস্তারিত সম্ভাব্যতা সমীক্ষা শীর্ষক একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়৷ এর আওতায় এখন আবার নতুন করে চারটি স্থান চিহ্নিত করে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ চলছে৷ সেগুলো হচ্ছে, মাদারীপুরের শিবচরের চর জানাজাত, ঢাকার দোহারের চরবিলাসপুর, মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানের কেয়াইন ও লতব্দী এলাকা৷ তবে পদ্মা সেতু থেকে দূরত্ব কম থাকায় চর জানাজাতকে তালিকার প্রথমে রাখা হয়েছে৷ সরকারের শীর্ষমহলও চায় পদ্মার পাড়ে চরজানাজাতেই বঙ্গবন্ধুর নামে এই বিমানবন্দরটি হোক৷

চারটি স্থান নির্বাচনের বিষয়ে কার্যপত্রে বলা হয়েছে, ঢাকার সঙ্গে উত্তম যোগাযোগ ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার বিষয়টি সামনে রেখে স্থান নির্বাচনের উদ্যোগ নেয়া হয়। উপযুক্ত স্থান নির্বাচনের লক্ষ্যে নয়টি স্থান সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রাথমিকভাবে চারটি স্থান নির্বাচন করা হয়েছে৷ এগুলোর মধ্যে আবার শীর্ষে আছে চর জানাজাত৷

জানা গেছে, সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ ২০১৭ সালের মধ্যে শেষ হলে নিয়োগ দেয়া হবে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান এবং দ্রুত শেষ করা হবে টেন্ডার প্রক্রিয়া। সম্ভাব্যতা যাচাই প্রকল্পের জন্য প্রাক্কলিত বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ১৩৬ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। এর আগে মন্ত্রীসভায় নীতিগত অনুমোদনের সময় প্রকল্পটির বাস্তবায়নকাল ধরা হয়েছিল ২০১০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত, ব্যয় ধরা হয়েছিল ৫০ হাজার কোটি টাকা।

বাংলাদেশ বিমানের সাবেক বোর্ড সদস্য ও এভিয়েশন বিষয়ক পাক্ষিক পত্রিকা ‘মনিটর’-এর সম্পাদক ওয়াহিদুল আলম বলেন, নানা কারণেই হযরত শাহাজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটিতে সবকিছু ঠিকঠাক করা যাচ্ছে না। আগে এই এয়ারপোর্টের পাশে জনবসতি তেমন ছিল না। এখন উত্তরায় আধুনিক শহর গড়ে উঠেছে। তাছাড়া কয়েকটি জেলায় যাতায়াতের একমাত্র সড়ক বিমানবন্দরের সামনের রাস্তাটি। ফলে এখানে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার সম্ভব নয়। পাশাপাশি এই বিমানবন্দরে নিরাপত্তাও পুরোপুরি নিশ্চিত করা কঠিন হয়ে পড়ে। তাছাড়া এখানে একটি রানওয়ে কোনো কারণে বন্ধ হয়ে গেলে বিমান ওঠানামাই বন্ধ হয়ে যায়। ফলে বাংলাদেশের স্বার্থেই নতুন একটি এয়ারপোর্ট করা প্রয়োজন৷ আর সেই কাজটি দ্রুত করা গেলেই ভালো।

এর আগে ২০১০ সালে ময়মনসিংহের ত্রিশালকে নতুন বিমানবন্দরের স্থান হিসেবে প্রাথমিকভাবে নির্বাচন করা হয়। কিন্তু বিমানবাহিনীর আপত্তির কারণে সেটা বাদ দেয়া হয়৷ এরপর সরকার আড়িয়াল বিলে বিমানবন্দর নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয় এবং ভূমি অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু করে। কিন্তু এলাকাবাসীর আন্দোলনের মুখে আড়িয়াল বিলে বিমানবন্দর নির্মাণের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। পরে বিমানবন্দরের জন্য আটটি স্থান চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় পরিদর্শন ও পর্যালোচনা করা হয়, যার প্রথমেই রয়েছে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার চর জানাজাত।

নতুন এ বিমানবন্দরের মাধ্যমে বাংলাদেশকে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলে একটি বিমান চলাচলের বড় কেন্দ্র (এয়ারলাইন্স হাব) হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা করেছে সরকার। সম্প্রতি পরিকল্পনা কমিশনের এক বৈঠকে এমনটাই জানিয়েছেন পরিকল্পনা মন্ত্রীআ হ ম মুস্তফা কামাল।

Loading...

বাংলাদেশ বিমানের সাবেক বোর্ড সদস্য কাশেম আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে সেখানে অত্যাধুনিক একটি বিমানবন্দর খুবই প্রয়োজন। আর এটা তো আয়েরও একটি মাধ্যম। নতুন অত্যাধুনিক বিমানবন্দর হলে সেটি থেকে যে আয় হবে, সেটাও কম নয়। তাছাড়া বর্তমানে যে বিমানবন্দরটি আছে সেটিকে অত্যাধুনিক করা কঠিন। সে কারণেই নতুন এই বিমানবন্দরের পরিকল্পনা।





Loading...

সম্পাদক ও প্রকাশক : আশ্রাফুর রহমান রাসেল
চেয়ারম্যান : আলহাজ্ব নুরুজ্জামান
ঠিকানা : ৬০৩ ফুলবাড়িয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
email : [email protected] (news)
Phone: +880851 62307
+8801963094563


close