নিজস্ব প্রতিবেদক : বিশ্ব জলবায়ু সম্মলেনে যোগ দিতে আগামী ১৪ নভেম্বর মরক্কো যাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৬ বছর পর এই বিশ্ব জলবায়ু সভায় যোগ দিচ্ছেন তিনি। তাই এবার বিশ্ব এ সভায় বাংলাদেশের প্রত্যাশা পূরণের আশা করছেন বিশেষজ্ঞরা। মারাকাশে এ নিয়ে প্রস্তুতিও চলছে।
আফ্রিকা আর ইউরোপের সীমান্ত শহর মারাকাশে এবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন বা কপ টুয়েন্টি টু। ১৯০টি দেশের ২২ হাজারেরও বেশি প্রতিনিধি অংশ নিয়েছেন এই বিশ্বসভায়। তাদের পদচারণয় এখন মুখরিত মরভূমির বুক চিরে গড়ে তোলা কপ টুয়েন্টি টু ভিলেজ। প্রতিদিন সেখানে হচ্ছে দেন দরবার। মরক্বোর লাল আর জলপাই রাঙা পতাকায় ছেয়ে গেছে শহরের পথঘাট। এবার আয়োজন অন্য যেকোন বারের তুলনায় বিস্তৃত। আলোচনা, বৈঠক আর দরকষাকষিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন সমঝোতাকারী আর বিশেষজ্ঞরা। ব্যস্ততা আছে বাংলাদেশ থেকে আসা প্রতিনিধিদেরও। বুধবার সকাল থেকেই সরকারি পর্যায়ে একাধিক বৈঠকে অংশ নেন তারা। এসব সভায় উঠছে বাংলাদেশের প্রত্যাশার কথা।
আগামী ১৪ নভেম্বর বিকালে মারাকাশে এসে পৌঁছানোর কথা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরদিন ১৫ নভেম্বর বিশ্ব নেতাদের সামনে বক্তৃতা করার কথা তার। দীর্ঘ সময় পর বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর অংশগ্রহণকে ইতিবাচকভাবে নিয়েছেন দেশি বিদেশী বিশেষজ্ঞরাও। সম্মেলন কেন্দ্রের সাইড ইভেন্টগুলোতেও আলোচনা হচ্ছে এসব।
প্রসঙ্গত, মারাকাশের এই বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রত্যাশা জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের জন্য ক্ষতিপূরণের অর্থ আদায় করা।