আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পপুলার ভোটে জয়ী হয়েও মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হেরে গেছেন হিলারি ক্লিনটন। নিজেদের শক্ত ঘাঁটিতে জয় পেলেও তিনি মূল ব্যাটলগ্রাউন্ডে প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে পিছিয়ে ছিলেন। তার হারের পর ভাঙনের সুর বাজছে আমেরিকায়। প্রথমে ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যটি আমেরিকা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয়। এ রাজ্যে হিলারি জয়ী হয়েছিলেন। ক্যালিফোর্নিয়ার জনগণের দাবি, তার আশা-আকাঙ্খার সঙ্গে অন্য অঙ্গরাজ্যেগুলোর মিল নেই। তাই আমেরিকা থেকে বেরিয়ে যাবে তারা।
ক্যালিফোর্নিয়ার এই বিক্ষোভ অন্য অঙ্গরাজ্যগুলিতেও ছড়িয়ে পড়েছে। হিলারি সমর্থকরা জানিয়েছেন, ট্রাম্পকে তারা কিছুতেই প্রেসিডেন্ট মানতে পারবেন না। হেরে গিয়ে স্বাভাবিকভাবেই সমর্থকদের চেয়ে কম কষ্ট পাননি হিলারি। বলেছেন, এ হার তাকে দীর্ঘদিন ধরে বেদনা দেবে। যদিও তিনি সমর্থকদের প্রতি ট্রাম্পকে মেনে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার আমেরিকার প্রভাবশালী গণমাধ্যম নিউ ইয়র্ক পোস্ট জানায়, হিলারির মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই শেষ হয়ে যায়নি। এখনো একটি উপায়ে তিনি প্রেসিডেন্ট হিসেবে হোয়াইট হাউসে প্রবেশ করতে পারেন। কী সেই উপায়? সে উপায় বেশ জটিল। এই পদ্ধতিতে সুযোগ থাকলেও খুব কমই এ পদ্ধতিতে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।
আমেরিকার সংবিধান অনুযায়ী ইলেক্টরাল কলেজের নির্বাচিত ইলেক্টররাই সত্যিকারের ভোটার যারা মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করেন। এ বছর ১৯ ডিসেম্বর তার নিজ নিজ অঙ্গরাজ্যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য ভোট দেবেন। এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কাউকে ভোট দেয়ার জন্য তারা বাধ্য নন। এসব ইলেক্টররা চাইলেই একাট্টা হয়েই হিলারিকে প্রেসিডেন্টের আসনে বসাতে পারেন।