১৪ই নভেম্বর, ২০১৬ ইং, সোমবার ৩০শে কার্তিক, ১৪২৩ বঙ্গাব্দ


শপথের আগে যে কাজগুলো বাকি


Amaderbrahmanbaria.com : - ১০.১১.২০১৬

 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে এখনই তিনি প্রেসিডেন্ট হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি পাচ্ছেন না। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী ২০ জানুয়ারি শপথ নিতে পারবেন তিনি। এর আগে আরো কিছু কাজ করতে হবে ইলেকটর ও মার্কিন কংগ্রেসকে। এ কর্মযজ্ঞ শুরু হবে মধ্য নভেম্বরে শেষ হবে জানুয়ারির প্রথমার্ধে।

মধ্য নভেম্বর থেকে ১৯ ডিসেম্বর
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর রাজ্যগুলোর সরকার সাতটি ‘ স্পষ্টীকরণ সনদ’ তৈরি করে। নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর একে সত্যায়িতের পর গভর্নর একটি সনদ মোহাফেজখানায় পাঠিয়ে দেন। ডিসেম্বরে ইলেকটরদের বৈঠকের আগেই এ সনদ মোহাফেজখানায় পাঠাতে হয়। বাকী ছয়টি সনদ ডিসেম্বরে ইলেকটরদের বৈঠকে উপস্থাপনের জন্য রেখে দেওয়া হয়।

১৩ ডিসেম্বর
রাজ্যগুলোতে তাদের নিয়োগ করা ইলেকটরদের নিয়ে কোনো বিতর্ক আছে কিনা তা স্পষ্ট করতে হয়। আর থাকলে তা নিরসনে বৈঠকের ছয়দিন আগে তা নিস্পত্তি করতে হয়। কংগ্রেসে যাতে ইলেকটরদের ভোট গ্রহণযোগ্য হয় সেজন্য এ কাজটি করতে হয়।

১৯ ডিসেম্বর
ইলেকটররা তাদের রাজ্যে বৈঠকে বসেন এবং প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট পদের জন্য পৃথক ব্যালট পেপারে ভোট দেন। তারাএই ভোটের পর ছয়টি ‘ স্পষ্টীকরণ সনদ’ এর বিপরীতে ছয়টি ‘ভোট সনদ’ তৈরি করেন। একটি স্পষ্টীকরণ সনদ’ ও একটি ‘ভোট সনদ’ দিয়ে জোড়া সনদের একটি প্যাকেজ করা হয়। এর একটি প্যাকেজ পাঠানো হয় সিনেটের প্রেসিডেন্টের (ভাইস প্রেসিডেন্ট) কার্যালয়ে, একজোড়া প্যাকেজ পাঠানো হয় যে রাজ্যে ইলেকটররা বৈঠকে বসেন সে রাজ্যের প্রধান নির্বাচকের কার্যালয়ে। বাকী তিনটির মধ্যে দুটি পাঠানো হয় মোহফেজখানায় এবং একটি পাঠানো হয় যে রাজ্যে বৈঠক হয়, সেখানকার জেলা জজের কাছে।

২৮ ডিসেম্বর
ইলেকটরদের বৈঠকের নয়দিনের মধ্যে সিনেটের প্রেসিডেন্ট ও মোহাফেজখানায় ‘ভোট সনদ’ পাঠাতে হয়।

৩ জানুয়ারি বা তার আগে
মোহাফেজখানার সংরক্ষক এবং কেন্দ্রীয় রেজিস্ট্রার বা তার প্রতিনিধি সিনেটের সেক্রেটারি ও করণিকের সঙ্গে ডিসেম্বরের শেষ কিংবা জানুয়ারির প্রথমে দেখা করেন।

৬ জানুয়ারি
ইলেকটরাল ভোট গণনার জন্য যৌথ অধিবেষনে বসে কংগ্রেস। কংগ্রেস চাইলে এই তারিখ পরিবর্তনে আইনও করতে পারে। সিনেটের প্রেসিডেন্ট যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্টের নাম ঘোষণা করেন।

যদি কোনো রাজ্য ইলেকটরাল ভোট নিয়ে কোনো পরস্পরবিরোধী তথ্য জানায়, তাহলে হাউজ অব রিপ্রেজেনটেটিভ ও সিনেট চাইলে এই ভোট গ্রহণ করতে পারে অথবা প্রত্যাখান করতে পারে। যদি প্রেসিডেন্ট পদে কোনো প্রার্থী ২৭০ ইলেকটরাল ভোট বা তার বেশি না পায় তাহলে সংবিধানের ১২ তম সংশোধনী অনুযায়ী, সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটের ভিত্তিতে তিনজনের মধ্যে একজনকে হাউজ অব রিপ্রেজেনটেটিভ প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করতে পারে। আর এই ভোট প্রদান করবে রাজ্যগুলো। একটি রাজ্য একটি ভোট প্রদান করতে পারবে।

২০ জানুয়ারি
প্রেসিডেন্ট শপথ গ্রহণ করেন এবং আনুষ্ঠানিকভাবে চার বছরের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সর্বময় কর্তৃত্বের অধিকারী হন।





Loading...


প্রকাশকঃ মোঃ আশ্রাফুর রহমান রাসেল
সম্পাদক : বিশ্বজিত পাল বাবু
চেয়ারম্যান : আলহাজ্ব নুরুজ্জামান
ঠিকানা : ৬০৩ ফুলবাড়িয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
email : [email protected] (news)
Phone: +880851 62307
+8801963094563


close