নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মানুষ হত্যা করে যারা নির্বাচনকে কলুষিত করেছিল তাদের বিচার করা হবে। বুধবার সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগের এক সভায় তিনি বলেন, বিচার করা হবে তাদেরও, যারা যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা করতে চেয়েছিল।
মঙ্গলবার গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিস্থলে অনুষ্ঠিত হয় আওয়ামী লীগের নতুন কার্যনির্বাহী সংসদ এবং উপদেষ্টা পরিষদের প্রথম যৌথসভা। বুধবার সন্ধ্যায় গণভবনে ডাকা হয় ওই যৌথসভার মুলতবী বৈঠক।
সভার শুরুতেই আগামী তিন বছরে দলের করণীয় নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। পাশাপাশি সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের মোকাবিলায় গণজাগরণ তৈরি করতে দলের নেতাদের জনসম্পৃক্ততা বাড়ানোর তাগিদ দেন শেখ হাসিনা। এ সময় বিএনপির সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা নির্বাচনকে বিতর্কিত করতে মানুষ হত্যা করেছিল তাদের মুখে গণতন্ত্রের কথা মানায় না।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘কেউ কেউ খুব গণতন্ত্রের জন্য ইদানীং দেখি ভীষণভাবে সোচ্চার। এ দেশের নির্বাচনকে কলুষিত যারা করেছিল আজ তাদের মুখেই গণতন্ত্রের কথা শুনলে আসলে হাসিই পায়। বিএনপি নেতাদের মুখ থেকে যখন এসব কথা শুনি, গণতন্ত্রের সবক শুনতে হয় আমাদের, এটাই সবচেয়ে দুঃখজনক যে কাদের কাছ থেকে আমাদের গণতন্ত্র শিখতে হবে, গণতন্ত্রের কথা শুনতে হবে। তারা যে শত শত মানুষ, নিরীহ মানুষ বাসে চড়তে পারেনি আগুন দিয়ে পুড়িয়েছে। ট্রেনে সাধারণ মানুষ যাচ্ছে তাদের আগুন দিয়ে পুড়িয়েছে। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে বিএনপি জামায়াতের যারা জড়িত অবশ্যই তাদের বিচার বাংলার মাটিতে হবে। কাজেই মিথ্যা মামলা কারো বিরুদ্ধে দেওয়া হয়নি। আর দুর্নীতি, মানি লন্ডারিং করেছে বলেই তো তাদের বিরুদ্ধে মামলা।’
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা এই বিচার ঠেকাতে চেয়েছিল তাদেরও বিচার করা হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা সরকারে এসে আবার সেই বিচার করেছি। বিচারের রায় কার্যকর করা হয়েছে। অথচ দেখা যাচ্ছে তারা কারা? যাদেরকে বিএনপি মন্ত্রী বানিয়েছে। কাজেই যারা যুদ্ধাপরাধীদের মদদ দিয়েছে তাদের বিচারও এই বাংলাদেশে একদিন হবে ইনশাল্লাহ। সেটা আমাদের করতে হবে।’
দেশ ও মানুষের জন্য রাজনীতি করতে দলের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান আওয়ামী লীগ সভানেত্রী।