ডোনাল ট্রাম্প মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম প্রেসিডেন্ট হিসাবে নির্বাচিত হওয়ায় সেদেশের মুসলিম তরুণীরা হিজবা পরে রাস্তায় বেরুতে নিরাপত্তা নিয়ে আশংকা প্রকাশ করছে। নির্বাচনের আগে মুসলমানদের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের বিদ্বেষী বক্তব্য তাদের মাঝে এই ভয় তৈরি করেছে। ২০১৫ সালে এক বক্তৃতায় ট্রাম্প বলেছিলেন, আমেরিকায় মুসলিমদের প্রবেশ নিষিদ্ধ হওয়া উচিত। খবর ডন উর্দূর।
মুসলমানদের বিরুদ্ধে এমন বিদ্বেষী বক্তব্য বক্তব্য দেয়ার বছর খানিকের মাথায় প্রেসিডেন্ট হিসাবে নির্বাচিত হওয়ায় মুসলিম তরুণীরা হিজাব পরে বাইরে বেরুলে নানা সমস্যা পড়তে পারে এমন আশংকা প্রকাশ টুইট লিখছেন। অথচ আমেরিকার আইনের দ্বিতীয় সংশোধনীতে বলা আছে কোনো ধর্মের বিরুদ্ধে এমন কোনো আইন তৈরি করা যাবে না, যা ধর্মীয় ঐতিহ্যকে বাধা সৃষ্টি করে।
এক নারী লিখছেন, ‘আমার মা আমাকে এসএমএস পাঠিয়ে বলেছেন, ‘প্লিজ তুমি হিজাব পরো না।’ অথচ তিনি আমাদের বংশে সবচেয়ে বেশী ধর্মপরায়ণ।’
নারজিস নাকভী নাকে একজন লিখেছেন, আপনি যদি নিজের এলাকায় হিজাব পরে বের হওয়াটা নিরাপদ মনে না করেন, তাহলে কোনো বন্ধুকে নিয়ে বেরুবে, কাছের বন্ধুদের ফোন করে বরেুবে, অন্যথায় বেরুবে না।
বিলাইর লামানি নামে এক নারী লিখেছেন, ‘আমার কাছে মনে হচ্ছে আজই শেষদিন যেখানে হিজাব পরে আমি নিজেকে নিরাপদ মনে করছি।’
সুলাইমান নামে এক ছেলে লিখেছেন, ‘আমার মা ও বোনকে কথা বলতে শুনেছিÑ তারা বলছে, ‘নিজের নিরাপত্তার জন্য হিজাব পরব নাকি পরব না!’