নিউজ ডেস্ক : সেনা বিদ্রোহে উসকানির অভিযোগে গুলশান থানায় দায়ের করা মামলায় নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক ও ডাকসুর সাবেক ভিপি মাহমুদুর রহমান মান্নাকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। জামিন প্রশ্নে পূর্বে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে বৃহস্পতিবার বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। তবে হাইকোর্টের জামিনের আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন কর হবে বলে জানিয়েছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশীরউল্লাহ। নিউ ইয়র্কে অবস্থানরত বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা এবং অন্য এক ব্যক্তির সঙ্গে মান্নার টেলিফোন আলাপের দুটি অডিও ক্লিপ প্রকাশের পর ২০১৫ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি মান্নাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এরপর একই বছর ২৪ ফেব্রুয়ারি সেনা বিদ্রোহে উসকানির অভিযোগে গুলশান থানায় মান্নার বিরুদ্ধে মামলা হয়। একই ঘটনায় ওই বছর ৫ মার্চ রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে আরেকটি মামলা হয়। এর আগে গত ৩০ আগস্ট বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়ার হাইকোর্ট বেঞ্চ মান্নাকে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় জামিন দেন। হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত করেন ৪ সেপ্টেম্বর প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে ৫ সদস্যের আপিল বেঞ্চ। আপিল বিভাগের আদেশের পর মান্নার আইনজীবীরা তখন জানিয়েছিলেন, ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত মান্নার জামিন স্থগিত করা হয়েছে।
এ সময়ের মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষকে নিয়মিত আপিল করতে বলা হয়েছে। তবে সেই মামলা এখনো কার্যতালিকায় আসেনি। এই দুটি মামলায় ২০১৫ সালের ২ ও ৭ মার্চ নিম্ন আদালতে মান্নার জামিন আবেদন নাকচ হয়। এরপর স্বাস্থ্যগত কারণ দেখিয়ে হাইকোর্টে জামিনের এই আবেদন করেন তিনি। সেই আবেদনের ওপর ২১ মার্চ শুনানি নিয়ে আদালত জামিন প্রশ্নে রুল দেন। সেই রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে আজ মান্নাকে এই জামিন দেওয়া হলো।