১৪ই নভেম্বর, ২০১৬ ইং, সোমবার ৩০শে কার্তিক, ১৪২৩ বঙ্গাব্দ


সিনেট ও হাউস রিপাবলিকানদের, দারুণ সুযোগ ট্রাম্পের


Amaderbrahmanbaria.com : - ০৯.১১.২০১৬

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :মার্কিন নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের পাশাপাশি এবার কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেট ও নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভেও সংখ্যা গরিষ্ঠতা অর্জন করেছে রিপাবলিকান পার্টি। হিলারিকে হারিয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন ট্রাম্প। কংগ্রেসের উচ্চ কক্ষ সিনেটে ১০০টি আসনের মধ্যে রিপাবলিকানরা জিতেছে ৫৪টিতে এবং ডেমোক্র্যাটরা পেয়েছে ৪৬টি আসন। স্বতন্ত্র দুই প্রার্থী জিতেছেন যারা ডেমোক্র্যাটদের সমর্থন জানিয়েছেন। নিম্নকক্ষ হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভের ৪৩৫টি আসনের মধ্যে রিপাবলিকানরা পেয়েছে ২৩৬টি ও ডেমোক্র্যাটরা ১৯২টি। দুই কক্ষেই নিয়ন্ত্রণ থাকার ফলে যে কোনও আইন বাস্তবায়ন করা ট্রাম্প ও রিপাবলিকানদের সহজ হবে।

স্থানীয় সময় বুধবার সকালে পাওয়া তথ্য অনুসারে সিনেটে রিপাবলিকানরা ৫৪টি আসনে জয় পাচ্ছে। ডেমোক্র্যাটরা পাচ্ছে ৪৬টি আসন। বেশির ভাগ রিপাবলিকান সিনেটর তাদের আসন ধরে রেখেছেন। সিনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার জন্য ৫১টি আসনের প্রয়োজন হয়। এবারের নির্বাচনে ৩১টি আসনে ভোট হয়েছে।

সিনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ সিনেটই যে কোনও পদে প্রেসিডেন্টের নিয়োগ দেওয়া ব্যক্তিদের বিষয়ে পরামর্শ ও সম্মতি দেয়। ওবামার দ্বিতীয় মেয়াদে সিনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিলো রিপাবলিকানদের। ফলে ওবামার অনেক নিয়োগ বিশেষ করে সুপ্রিম কোর্টের বিচার, মন্ত্রিসভায় অবস্থান, কমিশন আসনসহ গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ আটকে রাখে রিপাবলিকানরা। যেমন, সর্বশেষ মার্চে সুপ্রিম কোর্টের বিচারকের পদ শূন্য হলেও ওবামার নিয়োগ করা ব্যক্তিকে ভোট দিতে অস্বীকৃতি জানায় সিনেট। এছাড়া প্রশাসনের নির্বাহীদের দ্বারা স্বাক্ষরিত যে কোনও চুক্তি অনুমোদনের ক্ষমতা রয়েছে সিনেটের। রয়েছে অভিসংশন বিচারের ক্ষমতাও।

অন্যদিকে, হাউসে আসন সংখ্যা ৪৩৫টি। এ কক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে ২১৮টি আসন প্রয়োজন হয়। এবার ভোট হয়েছে ৩০টি আসনে। আগের ও এবার নির্বাচিত হওয়া মিলিয়ে হাউসে রিপাবলিকানদের আসন সংখ্যা এখন ২৩৬টি। বিপরীতে ডেমোক্র্যাটদের আসন ১৯২টি।

পুরো দেশের যে কোনও আইন ও বিল প্রণয়ন করে এ হাউসের সংখ্যাগরিষ্ঠরা। হাউসে পাস হওয়ার পর তা সিনেটেও অনুমোদিত হতে হয়। সর্বশেষ তা আইনে পরিণত হতে প্রেসিডেন্টের অনুমতি প্রয়োজন হয়। তবে প্রেসিডেন্ট ভেটো দিলে সে ক্ষেত্রে দুই কক্ষের দুই-তৃতীয়াংশের সম্মতিতে তা পাস হতে পারে। যেমন কিছুদিন আগে ৯/১১ নিয়ে সৌদি আরবের বিরুদ্ধে মামলার বিধান রেখে করা আইনে ওবামা ভেটো দিলেও তা প্রত্যাখ্যান সিনেট ও হাউসে রিপাবলিকানদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় তা আইনে রূপান্তরিত হয়।

উল্লেখ্য, দুই কক্ষের প্রতিনিধিরা দুই বছরের জন্য নির্বাচিত হয়ে থাকেন।

সিনেট ও হাউসে রিপাবলিকানদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা নব-নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে প্রশাসন পরিচালনায় বেশ কিছু সুবিধা দিতে পারে। যা ওবামার ছিলো না। সিনেটে রিপাবলিকান দলের নেতা মিচ ম্যাককোনেল বলেন, ওবামা প্রশাসনের আট বছর আমেরিকার জন্য জাতিকে নতুন দিকে নিয়ে গেছেন। ফলে ট্রাম্প পুরো জাতিকে একত্রিত করার দারুণ সুযোগ পাচ্ছেন।

তিনি আরও বলেন, আমার আশা ও লক্ষ্য আগামী দিনগুলোতে দেশকে শক্তিশালী ও অর্থনৈতিক সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য একত্রে কাজ করতে পারব।

নির্বাচনে জয়ের পর সবচেয়ে কঠিন পরিস্থিতি দাঁড়াবে সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগ নিয়ে। নির্বাচন চলাকালীন সময়ে ফেব্রুয়ারিতে অ্যানটনিন স্কালিয়ার মৃত্যুর পর শূন্য পদের জন্য চারজন রক্ষণশীল ও চারজন মডারেট প্রার্থী রয়েছেন। তখন থেকে সিনেটের রিপাবলিকানরা বারাক ওবামার মনোনীত গারল্যান্ডকে অপসারণ করতে চাইছেন।

সিনেটে রিপাবলিকানদের নিয়ন্ত্রণের ফলে এ লড়াই জটিল আকার ধারণ করবে। খুব সামান্য ব্যবধান রিপাবলিকানদের জন্য যথেষ্ট হবে না। ডেমোক্র্যাটিক সংখ্যাগরিষ্ঠরা বেশ কিছু আইনের পরিবর্তন চাইতে পারেন সুপ্রিম কোর্টে নিজেদের আধিপত্য ধরে রাখতে। এ লড়াইয়ের ফলে সিনেটে সহযোগিতার যে সামান্য চর্চা ছিলো তাও হারিয়ে যেতে পারে।

হাউজ অব রিপ্রেজেনটেটিভেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। হাউসের বর্তমান রিপাবলিকান স্পিকার পল রায়ানের সঙ্গে ট্রাম্পের সম্পর্ক ভালো নয়। ফলে রিপাবলিকানদের পক্ষ থেকে পল রায়ানকে অপসারণের দাবি ওঠতে পারে। ফলে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে স্পিকার পদ থেকে পল রায়ানকে রিপাবলিকানরা সরিয়ে দিতে পারবে।





Loading...


প্রকাশকঃ মোঃ আশ্রাফুর রহমান রাসেল
সম্পাদক : বিশ্বজিত পাল বাবু
চেয়ারম্যান : আলহাজ্ব নুরুজ্জামান
ঠিকানা : ৬০৩ ফুলবাড়িয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
email : [email protected] (news)
Phone: +880851 62307
+8801963094563


close