নিউজ ডেস্ক : বিশিষ্ট শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ও জাতীয় অধ্যাপক ডা. এম আর খান ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)।
আজ শনিবার বিকেল ৪টা ২৫ মিনিটে ঢাকা সেন্ট্রাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর।
ঢাকা সেন্ট্রাল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. ফরিদ উদ্দিন ফারুকী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বেশ কয়েকদিন ধরে ডা. এম আর খান কোমরে ব্যথা, হার্ট, উচ্চ রক্তচাপ ও নিউমোনিয়াসহ বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন।
রবিবার (০৬ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় সেন্ট্রাল হাসপাতালে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান ডা. ফরিদ উদ্দিন ফারুকী।
১৯২৮ সালের ১ আগস্ট সাতক্ষীরার রসুলপুরে জন্ম নেওয়া ডা. এম আর খান বাংলাদেশের শিশুচিকিৎসার পথিকৃৎ। ১৯৫৩ সালে কলকাতা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেন তিনি।
এরপর এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিটিএমঅ্যান্ডএইচ, এমআরসিপি, লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিসিএইচ, ঢাকার পিজি থেকে এফসিপিএস, ইংল্যান্ড থেকে এফআরসিপি ডিগ্রি লাভ করেন তিনি।
ডা. এম আর খান তার পেনশনের টাকা দিয়ে গড়ে তুলেন ডা. এম আর খান-আনোয়ারা ট্রাস্ট। দুস্থ মা ও শিশুর স্বাস্থ্যসেবা, তাদের আর্থিক-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে এ ট্রাস্টের মাধ্যমে তিনি নিরন্তর কাজ করেছেন।
তার উদ্যোগে গড়ে উঠেছে জাতীয় পর্যায়ের শিশুস্বাস্থ্য ফাউন্ডেশন। প্রতিষ্ঠা করেছেন শিশুস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল।
সাতক্ষীরা শিশু হাসপাতাল, যশোর শিশু হাসপাতাল, সাতক্ষীরা ভোকেশনাল ট্রেনিং সেন্টার, রসুলপুর উচ্চ বিদ্যালয়, উত্তরা উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ঢাকা সেন্ট্রাল হাসপাতাল, নিবেদিতা নার্সিং হোমসহ আরও বহু প্রতিষ্ঠান তিনি গড়ে তুলেছেন।
এছাড়া দেশ থেকে পোলিও দূর করতে উদ্যোগী ভূমিকা রেখেছেন ডা. এম আর খান।
প্রতিষ্ঠানতুল্য এই মানুষটির জীবনী স্থান পেয়েছে কেমব্রিজ থেকে প্রকাশিত ইন্টারন্যাশনাল হু ইজ হু অব ইন্টেলেকচুয়ালে। পেয়েছেন আন্তর্জাতিক ম্যানিলা অ্যাওয়ার্ড, একুশে পদকসহ আরও অনেক পুরস্কার।
শিক্ষা, চিকিৎসা, শিশুস্বাস্থ্য সুরক্ষা, দুর্গত অসহায় মানুষের সেবাসহ সমাজকল্যাণমূলক কাজে অসামান্য অবদানের জন্যে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি ও বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমি স্বর্ণপদকে ভূষিত করেছে।
এম আর খান নামে তিনি সর্বাধিক পরিচিত হলেও তার পুরো নাম মো. রফি খান।