নিউজ ডেস্ক : সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার নিমগাছি বাজার এলাকায় এক নারীর সঙ্গে ট্রাফিক সার্জেন্ট আতিকুর রহমান (২৫) অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে ধরা খেয়েছেন।
পরে শুক্রবার বিকালে স্থানীয়দের মধ্যস্থতায় ওই নারীর সঙ্গে তার বিয়ে দিয়ে বিষয়টির রফা হয়।
ট্রাফিক সার্জেন্ট আতিকুর রহমান বগুড়ার শেরপুর উপজেলার মির্জাপুরের বাসিন্দা। সার্জেন্ট আতিকুর নাটোর জেলার উপর বাজার পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত।
আর রানী খাতুন (২০) নামের ওই নারী রায়গঞ্জ উপজেলার নিমগাছি বাজার এলাকার সানোয়ার হোসেনের মেয়ে।
জানা গেছে, গত এক বছর পূর্বে ঘটকের মাধ্যমে ওই ট্রাফিক সার্জেন্টের সঙ্গে রানীর বিয়ের কথাবার্তা হয়। এ সময়ই আতিকুর ঘটকের মাধ্যমে রানীর মোবাইল নম্বর নেন। তাদের মধ্যে বিয়ে না হলেও বিভিন্ন সময় দু’জন কথাবার্তা বলতে থাকেন।
এরই জের ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে, তা পরে শারীরিক সম্পর্ক পর্যন্ত যায়। এরপর সার্জেন্ট আতিকুর মাঝে মধ্যেই রানীর বাড়িতে আসা-যাওয়া করতেন।
এক পর্যায়ে রানী ও তার মা বুঝতে পারেন ওই সার্জেন্ট শুধু অনৈতিক সম্পর্কই রাখতে চান, বিয়ে করতে চান না।
এমতাবস্থায় শুক্রবার সকালে সার্জেন্ট আতিকুর দেখা করতে আসলে তাকে আটকে রাখে রানীর পরিবারের সদস্যরা। বিকালে বিষয়টি জানাজানি হলে তারা আতিকুরকে পরিবারের লোকজনকে আনতে বলেন।
পরে আতিকুরের পরিবারের লোকজন এলে সোনাখাড়া ইউনিয়ন পষিদের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল রিপনসহ স্থানীয়দের মধ্যস্থতায় গভীর রাত পর্যন্ত দেনদরবার চলে।
পরে রাতেই ৮ লাখ টাকা কাবিননামা করে আতিক ও রানীর বিয়ে দেয়া হয়।