স্পোর্টস ডেস্ক: বুখারেস্টের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লীগের প্লে-অফের ম্যাচ নয়, ইত্তিহাদ স্টেডিয়ামে সবার দৃষ্টি ছিল জো হার্টের দিকে। ম্যানচেস্টার সিটির নম্বর ওয়ান গোলরক্ষক যে এখন পেপ গার্দিওলার কাছে ‘তিন নম্বর’ ছাত্র। বার্সেলোনার ক্লদিও ব্রাভোকে দলে নেওয়ার কাজটা প্রায় চূড়ান্ত করে ফেলেছে ইংলিশ জায়ান্টরা। তাই বুখারেস্টের বিপক্ষে ম্যাচই ছিল সিটির জার্সি গায়ে হার্টের শেষ ম্যাচ। কিন্তু প্রিয় তারকার শেষটা যেন দেখতে চাইছেন না সিটির সমর্থকরা। তাই তো বুধবার রাতে ইত্তিহাদের গ্যালারির বেশিরভাগ জুড়েই ছিল হার্টের নাম। হার্টের হৃদয় ভেঙে পেপ এখন সিটির সমর্থকদের চোখে খলনায়ক।
‘যদি হার্টকে ভালোবাস, তাহলে উঠে দাঁড়াও’_ ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে ইত্তিহাদের গ্যালারিতে ছিল এমন স্লোগান। আর কিছু দর্শকের হাতে ছিল ব্যানার, যাতে লেখা ছিল, ‘এমন ভালো হার্টকে আর খুঁজে পাওয়া যাবে না’। ইংল্যান্ড ও সিটির সেরা এ গোলরক্ষককে কতটা ভালোবাসেন, তার প্রমাণ তো মাঠেই দিলেন সমর্থকরা। কিন্তু সিটির জার্সি গায়ে ৩৪৮ ম্যাচ খেলা ২৯ বছর বয়সী এ গোলরক্ষকের জন্য কোনো দয়া নেই পেপ গার্দিওলার, ‘আমি সবাইকে খুশি করতে পারব না।’
ইংল্যান্ডের এ ক্লাবটির হয়ে দুটি প্রিমিয়ার লীগের শিরোপা, ২০১১ সালে এফএ কাপ এবং দুটি লীগ কাপের শিরোপা জিতেছেন হার্ট। একসময় সিটির এক নম্বর গোলরক্ষক ছিলেন তিনি। কিন্তু গার্দিওলা সিটিতে আসার পরই বদলে যায় দৃশ্যপট। মৌসুমের প্রথম তিন ম্যাচেই ডাগআউটে ছিলেন ইংল্যান্ডের এ গোলরক্ষক। হার্টের হৃদয় ভাঙলেও ইংলিশ এ তারকাকে কিংবদন্তি হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন বার্সেলোনা ও বায়ার্ন মিউনিখের সাবেক এ কোচ, ‘জো এখনও আমাদেরই খেলোয়াড়। নতুন কারও সঙ্গে চুক্তি না হওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাবে না। আজকে তার পারফরম্যান্সে আমি খুবই খুশি। আমি জানি তিনি এই ক্লাবের কিংবদন্তি।’
এখনও কোনো ক্লাবে চূড়ান্ত হননি হার্ট। গুঞ্জন উঠেছে, এভারটন অথবা সেভিয়ায় যেতে পারেন তিনি। সিটির হয়ে সম্ভবত শেষ ম্যাচ খেলে ফেলা হার্টও দর্শকদের ভালোবাসায় সিক্ত। ‘আমার জন্য এ রাতটি ছিল খুবই স্পেশাল। সিটির সমর্থকদের ভালোবাসায় আমি আবেগাপ্লুত। আমার জন্য এখানে সেরা স্থানটি পাওয়া ছিল অনেক বড়। কিন্তু পরিস্থিতিই সব বদলে দিয়েছে। ফুটবলে এমনটা হবেই’, বলেন ২০০৬ সালে সিটিতে যোগ দেওয়া হার্ট। এর পরই বিদায় নেওয়ার প্রশ্নটি শুনতে হয় হার্টকে, ‘আমার পক্ষে এটা বলা সম্ভব নয়।’