স্পোর্টস ডেস্ক : প্রথমে টুইটারে দুই বাক্যের ছোট একটি বার্তা। তাতেই কাল বাংলাদেশ সময় মধ্যরাতে বয়ে এল এ দেশের ক্রীড়াঙ্গনের জন্য বড় সুখবর। ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) তাদের টুইটারে টুইট করেছে, ‘আমরা নিশ্চিত করতে পারি ইংল্যান্ডের বাংলাদেশ সফর পরিকল্পনা অনুযায়ীই এগোবে। আরও বিস্তারিত বিবৃতি পরে জানানো হবে।’
বাংলাদেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি, এই সফরের সম্ভাব্য ঝুঁকি, সরকার ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পক্ষ থেকে যেসব নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে এসবই গতকাল ইংল্যান্ডের খেলোয়াড়দের জানানো হয়। ইসিবির নিরাপত্তাপরামর্শক রেগ ডিকাসন, ইংল্যান্ডের খেলোয়াড়দের সংগঠনের (পিসিএ) প্রধান নির্বাহী ডেভিড লিথারডেল, ইসিবির ক্রিকেট অপারেশনস পরিচালক জন কারের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল সম্প্রতি ভারত ও বাংলাদেশে সরেজমিনে পরিস্থিতি দেখে গেছে। তারাই গতকাল খেলোয়াড়দের জানায়, যে নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে, তাতে এই সফরে যাওয়া নিরাপদই হবে।
কালকের এই বৈঠকে খেলোয়াড়েরাও ছিলেন। যাঁদের মধ্যে ছিলেন টেস্ট অধিনায়ক অ্যালিস্টার কুক ও ওয়ানডে অধিনায়ক এউইন মরগান। ইসিবির প্রধান নির্বাহী টম হ্যারিসন ও ইংল্যান্ড ক্রিকেটের পরিচালক অ্যান্ড্রু স্ট্রাউসও ছিলেন এই আলোচনায়।
এরপর ইসিবির পক্ষ থেকে সাবেক অধিনায়ক স্ট্রাউস একটি বিবৃতি দেন। তাতে বলা হয়, ‘পরিকল্পনা অনুযায়ী ইংল্যান্ডের বাংলাদেশ সফর এগিয়ে যাবে। খেলোয়াড় ও দলের কর্মীদের নিরাপত্তা সব সময়ই সর্বোচ্চ গুরুত্ব পেয়েছে। আমরা এই সফরের ঝুঁকি সম্ভাব্যতা সম্পর্কে একেবারে বিস্তারিত জানতে পেরেছি। বর্তমান পরিস্থিতিও বিস্তারিতভাবে জানানো হয়েছে।
পাশাপাশি জানানো হয়েছে আমাদের কী কী নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। আমাদের যে পরামর্শ ও সমর্থন দেওয়া হয়েছে তাতে ইসিবি ও পিসিএর পূর্ণ আস্থা আছে।’
স্ট্রাউস বলেন, ‘আমরা আজকে একেবারে উন্মুক্ত আলোচনায় খেলোয়াড় ও দলের কর্মীদের সঙ্গে বিস্তারিত কথা বলেছি। তাঁরা অনেক প্রশ্নের উত্তর জানতে চেয়েছেন, সামনে আরও অনেক কিছুই জানতে চাইবেন। পূর্ণ নিশ্চয়তা তাঁরা পেতে চান এটা আমরা বুঝি। আমাদের গ্রীষ্ম মৌসুমের আন্তর্জাতিক ম্যাচগুলো হলেই এই সফরের দল ঘোষণা করা হবে।’
পাকিস্তানের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের ওয়ানডে সিরিজ শেষ হওয়ার পরপরই এই দল ঘোষণা আসার কথা। তবে ইসিবি আরও অপেক্ষা করছে এই জন্য, এরপরও কেউ কেউ হয়তো এই সফরে যেতে না-ও রাজি হতে পারেন। খেলোয়াড়দের এ ব্যাপারে পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। পরিবার ও স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেই তাঁরা সদ্ধিান্ত নেবেন।
আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ওয়ানডে দলের যাত্রা দিয়েই শুরু হবে ইংল্যান্ডের এই মৌসুমের শীতকালীন সূচি। এরপর আসবে ইংল্যান্ডের টেস্ট দল। বাংলাদেশ সফর শেষ হবে ২ নভেম্বর। ৯ নভেম্বর থেকেই আবার ভারত সফর শুরু।
স্ট্রাউস খেলোয়াড়দের আরও আশ্বস্ত করে বলেছেন, ‘আমরা পুরো পরিস্থিতির ওপর চোখ রাখছি। এখন থেকে পুরো সফর শেষ না হওয়া পর্যন্ত চোখ রাখব।’ সূত্র: বিবিসি, এএফপি।