নিউজ ডেস্ক : রাজধানীর কল্যাণপুরের তাজ মঞ্জিলের মালিকের স্ত্রী মমতাজ পারভীন, ছেলে মাজহারুল ইসলামসহ ওই বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার হওয়া পাঁচজনের বিরুদ্ধে জঙ্গি–সংশ্লিষ্টতার কোনো প্রমাণ পায়নি পুলিশ। পুলিশি হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাঁরা এখন কারাগারে। তাঁদের বিরুদ্ধে মিরপুর থানায় একটি নিয়মিত মামলা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার আবদুল মান্নান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, কল্যাণপুরের ঘটনার পর সন্দেহভাজন হিসেবে ৫৪ ধারায় তাঁদের আটক করা হয়েছিল। রিমান্ডে নিয়ে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত তাঁদের বিরুদ্ধে জঙ্গি–সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তাঁদের বিরুদ্ধে মিরপুর মডেল থানায় পুলিশের কাজে বাধা ও তথ্য গোপনের অভিযোগে নিয়মিত মামলা হয়েছে। এই মামলায় তাঁরা গ্রেপ্তার আছেন।
জঙ্গিবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে গত ২৫ জুলাই রাতে কল্যাণপুর এলাকায় অভিযানে নামে পুলিশ। রাতে কল্যাণপুরের ৫ নম্বর সড়কের তাজ মঞ্জিল (স্থানীয়ভাবে বাড়িটি জাহাজ বিল্ডিং নামে পরিচিত) নামের বাড়িতে অভিযান শুরু হয়। এ সময় বাড়িটির পঞ্চম তলায় জঙ্গি আস্তানার সন্ধান পাওয়া যায়। সারা রাত পুলিশ বাড়িটি ঘিরে রাখে। পরদিন ভোরে পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট ‘সোয়াট’ বাড়িটিতে অভিযান শুরু করে। প্রায় এক ঘণ্টার ওই অভিযানে নয় জঙ্গি নিহত হয় ও এক জঙ্গিকে আহত অবস্থায় আটক করা হয়, আরেক জঙ্গি পালিয়ে যায়।
অভিযানের পর বাড়ির মালিকের স্ত্রী মমতাজ পারভীন, ছেলে মাজহারুল ইসলাম এবং তাঁর সহযোগী মাহফুজুল আনসার, মমিন উদ্দিন ও জাকির হোসেনকে ৫৪ ধারায় আটক করা হয়। বাড়ির সামনে বসানো হয় পুলিশ পাহারা।
শুক্রবার দুপুরেও ওই বাড়ির সামনে পুলিশের পাহারা দেখা গেছে। জানতে চাইলে মিরপুর মডেল থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মনজুর আলম প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনার পর থেকে পালা করে ২৪ ঘণ্টা বাড়িটি পাহারা দেওয়া হচ্ছে। বাড়িতে এখন আর কেউ থাকেন না। ভাড়াটে যাঁরা ছিলেন, তাঁরাও তাঁদের সব আসবাব নিয়ে চলে গেছেন। বাড়ির মালিকপক্ষ থেকেও কেউ বাসায় আসেন না বলে তিনি জানান।
এত দিন বাড়িটির মূল ফটক তালাবদ্ধ থাকলেও গতকাল ফটকটি খোলা দেখা গেছে। বাড়ির নিচতলার গ্যারেজের পাশে পুলিশের কয়েকজন সদস্যকে বসে থাকতে দেখা যায়। প্রথম আলো