সমুদ্রে ডুবে ৩ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর মৃত্যু, নিখোঁজ ৩
দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনের সমুদ্র সৈকতে গোসলে নেমে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনজন শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।
এ ঘটনায় এখনও তিন শিক্ষার্থী নিখোঁজ রয়েছেন। আর জীবিত উদ্ধার তিনজনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
হতাহত এবং নিখোঁজরা সবাই আহসান উল্লাহ ইউনিভার্সিটি অব সাইন্স অ্যান্ড টেকনোলজির কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী।
নিহতদের মধ্যে দুজনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন- সাদ্দাম হোসেন ও মনতেজুল ইসলাম। অন্যজনের পরিচয় নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। প্রথমে যে চারজন নিখোঁজ ছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছিল, তাদের একজনের লাশ বিকেলে উদ্ধার করা হয়েছে।
তবে নিখোঁজ চার শিক্ষার্থী- সাব্বির হোসেন (২৩), শাহরিয়ার নোমান (২৪), উদয় মাহমুদ (২২) ও গোলাম রহিম বাপ্পীর (২৩) মধ্যে নিহত ছাত্র কে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
আর কোস্টগার্ড মুমূর্ষু অবস্থায় আশিক, ফয়সাল ও ফারহানকে উদ্ধার করতে সমর্থ হয়। এই তিনজনের অবস্থাও সংকটাপন্ন।
খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে টেকনাফ মডেল থানার ওসি রনজিত কুমার বড়ুয়া বলেন, লাশ উদ্ধার করে মর্গে এবং আহতদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহত অপর ছাত্রের পরিচয় সনাক্তের চেষ্টা চলছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সেন্টমার্টিনে বেড়াতে এসে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৪ জন শিক্ষার্থী সাগরে গোসল করতে যান। এদের মধ্যে নয়জন সাগরে হারিয়ে যান। ঘটনার ১৫ মিনিটের মধ্যেই কোস্টগার্ডের সেন্টমার্টিন স্টেশন পাঁচ শিক্ষার্থীকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে।
প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর বিকেল ৪টার দিকে একজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। আর উদ্ধার হওয়া পাঁচ শিক্ষার্থীর মধ্যে সেন্টমার্টিন থেকে টেকনাফ আনার পথে দুজন মারা যান।
কোস্টগার্ডের সেন্টমার্টিন স্টেশন কমান্ডার লেফট্যানেন্ট শহিদুল হাসানের নেতৃত্বে নিখোঁজ তিন শিক্ষার্থীর সন্ধানে স্থানীয়দের নিয়ে সাগরে স্পিডবোট দিয়ে তল্লাশি অব্যাহত রাখা হয়েছে।
কোস্টগার্ডের গোয়েন্দা শাখার একজন কর্মকর্তা জানান, আহসান উল্লাহ ইউনিভার্সিটি অব সাইন্স অ্যান্ড টেকনোলজির ৩৪ জনের একদল শিক্ষার্থী সোমবার দুপুরে সেন্টমার্টিন আসেন। তারা বেলা দেড়টার দিকে সেন্টমার্টিনের দক্ষিণ-পূর্ব সমুদ্র সৈকতে গোসল করতে নামেন।
তিনি জানান, ওই সময় সাগরের ঢেউয়ের তোড়ে নয়জন শিক্ষার্থী সমুদ্রের মাঝে চলে যান। কোস্টগার্ড সদস্যরা জানতে পেরে কমান্ডার লেফট্যানেন্ট শহিদুলের নেতৃত্বে সৈকতের পূর্ব-দক্ষিণ মোহনা থেকে পাঁচজন শিক্ষার্থীকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করেন।
শহিদুল সাংবাদিকদের জানান, নিখোঁজ ৩ শিক্ষার্থীকে উদ্ধারে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। স্থানীয় অধিবাসীদের সহায়তায় সাগর উপকূলে নিখোঁজদের উদ্ধারে চেষ্টা চলছে।