জনগণ নির্বাচন নিয়ে উৎসবমুখর হলে বিএনপির খারাপ লাগে : প্রধানমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জনগণ যখন নির্বাচন নিয়ে উৎসবমুখর হয়, তখন বিএনপির খুব খারাপ লাগে। সেটাই গতকাল (বুধবার) দেশবাসী দেখল।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সংসদীয় বোর্ডের বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে শেখ হাসিনা এ মন্তব্য করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, সবাই দাবি করল, তাই নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের সময় পিছিয়ে দিয়েছে। সবাই যখন আসল, তখন নির্বাচনের একটি উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হলো। কিন্তু জনগণ যখন নির্বাচন নিয়ে উৎসবমুখর হয়, তখন বিএনপির খুব খারাপ লাগে। সেটাই গতকাল বুধবার দেশবাসী দেখল। কোনো কথা নেই বার্তা নেই, বিএনপির একটি মিছিল নিয়ে এসে মারপিট করল, পুলিশকে আহত করল এবং পুলিশের গাড়ি পোড়াল।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, মানুষ পোড়ানো ছাড়া বিএনপি কোনো কাজ করতে পারে না, এটাই ২০১৫ সালে তারা প্রমাণ করেছে। যা অত্যন্ত দুঃখজনক। যখন বাংলাদেশের মানুষ নির্বাচনে উৎসবমুখর, যখন সবাই খুশি নির্বাচন করবে, সাধারণ মানুষ ভোট দিয়ে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে জয়যুক্ত করবে, ঠিক সে সময়ই বিএনপি তাদের স্বরূপে আবার ফিরে এসেছে।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, এ ধরনের কাজ করার পর একজনের দোষ আরেকজনের ঘাড়ে দেওয়া “উদোর পিণ্ডি বুদোর ঘাড়ে” দেওয়ার বিষয়ে বিএনপি পারদর্শী। ছাত্রলীগ গেল কখন এবং যাবে কেন? ভিডিও ফুটেজও তো সবার চেহারা দেখা যাচ্ছে, একজনও কি ছাত্রলীগ-যুবলীগের কারও চেহারা আছে? সবই তো বিএনপির গুন্ডাদের চেহারা। সবাই তো বিএনপির।
৪ হাজার ২৩ জন মনোনয়ন প্রত্যাশীর বিষয় উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, তাদের সঙ্গে কিছু কথা হয়েছে। এত প্রার্থীর মধ্যে প্রার্থী বেছে নেওয়া কঠিন কাজ। তারপরও মনোনয়ন বোর্ড বসেছে, যাচাই-বাছাই করে ঠিক করা হবে। এ সময় তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, জনগণ নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে তাদের জীবন মানের উন্নয়ন নিশ্চিত করবে।’