আবারো নারায়ণগঞ্জ রণক্ষেত্র !
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জে মাইকে ঘোষণা দিয়ে আমির ও খলিল মেম্বার গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়ক মদনপুর এলাকায় রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। এসময় উভয় গ্রুপ প্রতিপক্ষের বাড়ি ঘরে হামলা, ভাংচুর, মহাসড়কে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ঘটায়। এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে পুলিশের ৪ সদস্যসহ উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক আহত হয়েছে। আহতদের স্থানীয় হাসপাতাল ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রায় ২ ঘন্টা ব্যাপি চলা সংঘর্ষে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাড়কের উভয় পাশে যান চালাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে অতিরিক্তি পুলিশ ও র্যাব এসে বিকাল ৩ টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং যানচলাচল স্বাভাবিক করেন।
রোববার সাড়ে ১২ টায় দুপুরে বন্দর উপজেলা মদনপুর বাসস্ট্যান্ডের চাঁদাবাজি ও স্থানীয় পরিবহন সেক্টরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করেই এই সংঘর্ষের ঘটনা। এর আগেও একাধিকবার দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে থানায় একাধিক মামলাও রয়েছে।প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, দুপুর সাড়ে ১২ টায় মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদের দুই বারের নির্বাচিত খলিল মেম্বার মদনপুরে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় তার নিজস্ব দোকানে বসেছিলেন। এসময় আমির গ্রুপের অর্ধ শতাধিক ক্যাডার এসে তাকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে খলিল গ্রুপের সদস্যরা মাইকে ঘোষণা দিয়ে আমির গ্রুপের সদস্যদের বাড়িঘরে হামলা, ভাংচুর চালায় ও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। পরে আমির গ্রুপও আবার পাল্টা হামলা করলে দুই পক্ষের হামলা পাল্টা হামলায় এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। মূলত মদনপুর বাসস্ট্যান্ডের চাঁদাবাজি ও স্থানীয় পরিবহন সেক্টরে আধিপত্য বিস্তার ও নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে।
বন্দর থানার ওসি আজহারুল ইসলাম সরকার জানান, গুরুতর আহত খলিল মেম্বার ও শাহ আলমকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্যরা স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। মহাসড়কে চালাচল স্বাভাবিক আছে। এলাকায় অতিরিক্তি পুলিশ রয়েছে এবং র্যাবও আছে।এ খবর ছড়িয়ে পড়লে খলিল গ্রুপের সদস্যরা মাইকে ঘোষণা দিয়ে আমির গ্রুপের সদস্যদের বাড়িঘরে হামলা চালায় এবং সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। পরে আমির গ্রুপও খলিল গ্রুপের লোকজনের ওপর হামলা চালায়। দু’পক্ষের হামলা-পাল্টা হামলায় এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
গুরুতর আহতাবস্থায় খলিল মেম্বার ও শাহ আলমকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজহারুল ইসলাম সরকার আমাদেরসময়. কমকে আরো জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের আনতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ।
amadershomoy.com