গভীর সমুদ্রে বিশাল পাইরোসামের ভিডিও ভাইরাল
অনলাইন ডেস্ক : দেখলে মনে হবে ফিনফিনে শিফনের তৈরি সাদা কাপড়। কিন্তু ভুল ভাঙে কাছে গেলে। আসলে ছোট ছোট একঝাঁক সামুদ্রিক জীবের সমাহার। দলবেঁধে ভেসে চলে তারা। এক সঙ্গে থাকায় দেখতে লাগে খানিকটা ফাঁপা নলের মতো। এদের নাম জুইড। আর জুইডদের এই দলটিকে বলা হয় পাইরোসাম। গভীর সমুদ্রে গিয়ে সম্প্রতি প্রায় ২৬ ফুট লম্বা এমনই এক পাইরোসামের দেখা পেলেন দুই বন্ধু। এরপর সেই ভিডিও তুলে ধরলেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
জুইড আকারে অতি ক্ষুদ্র। একেকটি প্রাণী লম্বায় মাত্র কয়েক সেন্টিমিটার। সর্বদা দলবেঁধে ভেসে বেড়ায় এদের একেকটি গোষ্ঠী। যাতে ওই নলের মতো আকার তৈরি হয়। কোনও কোনও ক্ষেত্রে এই দলটির দৈর্ঘ্য ৪৫ থেকে ৬০ ফুট পর্যন্তও হতে পারে। মূলত ফাইটোপ্ল্যাঙ্কটন খেয়ে বেঁচে থাকে এরা। এদের গা থেকে এক ধরনের নীলাভ সবুজ আলো বিচ্ছুরিত হয় যা বেশ কয়েক মিটার দূর থেকে দেখা যায়। পাইরোসাম নামটিও এসেছে এই বিচ্ছুরিত আলোর জন্যই। গ্রিক শব্দ ‘পাইরো’-র অর্থ আলো বা আগুন। আর ‘সোমা’-র অর্থ বিচ্ছুরণ।
নিউজিল্যান্ডের ৪৮ কিলোমিটার উত্তরে হোয়াইট আইল্যান্ড। হাজার হাজার বছর ধরে লাভা নির্গত হয়ে তৈরি হয়েছে এই দ্বীপ। গত ২৫ অক্টোবর সেখানেই গভীর সমুদ্রে প্রবেশ করেছিলেন স্টিভ হ্যাথওয়ে ও তাঁর বন্ধু অ্যান্ড্রু বাটল। উদ্দেশ্য ছিল একটি ভিডিও ফুটেজ বানানোর। সেই সময়ই বিশাল এই পাইরোসাম দেখতে পান তাঁরা।
দৃশ্যটি ক্যামেরাবন্দি করতে ভোলেননি হ্যাথওয়ে। একটি সাক্ষাত্কারে তিনি বলেন,“বহু বার সমুদ্রের নীচে গিয়েছি। বহু বিচিত্র প্রাণী দেখেছি। পাইরোসামের কথা বহু বার শুনলেও আগে কখনও দেখিনি। মনে হচ্ছিল যেন অনেক বছর ধরে মনের মধ্যে পুষে রাখা স্বপ্ন পূরণ হল।”
ক্যালিফোর্নিয়ার ‘স্ক্রিপস ইনস্টিটিউশন অফ ওশানোগ্রাফি’র বিজ্ঞানী লিনজি সলা জানিয়েছেন, “সব পাইরোসামই যে অত লম্বা হয় তা নয়, তবে নিউজিল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ার কাছে এর চেয়েও বড় পাইরোসামের দেখা পাওয়া গিয়েছে।”