ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রোপা আমন ফলনে কৃষকের চোখে- মুখে হতাশা
তৌহিদুর রহমান নিটল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বেশকিছু এলাকায় আমন ধান কাটার শুরু হয়েছে।জমি থেকে ধান কাঁটা আর মাড়াইয়ে এখন ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষাণ- কৃষাণিরা ।কৃষকরা তাদের জমিতে আমনের আশানুরূপ ফলন আশা করলেও অনেক এলাকায় (টুংগো) ভাইরাসে কারনে আমন ধান অনেক জমিতে অর্ধেক মত নষ্ট হয়ে গেছে। এতে কৃষকদের চোখে-মুখে হতাশার ছাপ দেখা দিয়েছে।প্রতি কাণি জমিতে চারা রোপন তারপর সার কীটনাশক ও সেচসহ যে পরিমাণ খরচ হয়েছে তার তুলনায় উৎপাদিত ফসলের পরিমাপ অনেকটাই কম।তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সময় মত টুংগো রোগের প্রতিকারে ব্যবস্থা নেওয়ায় ক্ষতির পরিমান অনেকটাই কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।
গত বছরের তুলনায় এবছর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় রোপা আমন ধানের আবাদ বেড়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় ৯টি উপজেলায় এবছর ৪৬ হাজার হেক্টর জমিতে রূপা আমন চাষের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করে কৃষি বিভাগ। তবে আবাদ হয়েছে ৪৮ হাজার হেক্টর জমিতে। জেলায় আমনের আশানুরূপ ফলন হলেও কসবা উপজেলায় আমন ক্ষেতে টুংরো রোগের আক্রমনে ফসল অনেকটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আক্রান্ত এলাকার কৃষকদের দাবী প্রয়োজনীয় কীটনাশক প্রয়োগ করেও সুফল পাননি তারা। তবে ক্ষতির চিন্তা মাথায় রেখেই উৎপাদিত ফসল কাটঁতে শুরু করেছে কৃষকরা।
রফিক মিয়া ও সামসূল ভূইয়াসহ কসবা উপজেলার আনন্দপুর গ্রামের বেশ কয়েকজন কৃষক জানান, আমরা এবছর জমিতে টুংরো রোগের কারণে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। যেখানে প্রতি কানিতে ১৮ থেকে ২০মন ধান পাওয়ার কথা সেখানে টুংরার আক্রমনে উৎপাদন কমে গেছে। এখন জমি পরিস্কার করতে যে পরিমান খরচ হবে সে পরিমান ধান তারা পাবেননা। উৎপাদন খরচ না উঠার অনেকটাই দিশেহারা কৃষক ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক আবু নাছের বলেন, কাংক্ষিত লক্ষ্যের চেয়ে বেশি উৎপাদন হয়েছে। টুংরো রোগে আক্রান্ত ফসলের জমিতে সময় মত ব্যবস্থা নেওয়ার কারণে ক্ষতির পরিমান অনেকটা কমেছে।