রাজার ঘূর্ণিতে পরাজয়ের দিকে এগুচ্ছে বাংলাদেশ (সরাসরি)
স্পোর্টস ডেস্ক : জয়ের বড় লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে আজ মঙ্গলবার ম্যাচের চতুর্থ দিনে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছে বাংলাদেশ। নিয়মিত হারাচ্ছে উইকেট। ১১১ রানেই হারিয়েছে ৫ উইকেট। এই ধ্বংসযজ্ঞে নেতৃত্ব দিচ্ছেন সিকান্দার রাজা। এখন পর্যন্ত তিনি নিয়েছেন ৩ উইকেট।
দিনের প্রথম ঘণ্টাতেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। সিকান্দার রাজার স্পিনে এলবিডাব্লিউ হয়ে যান লিটন দাস (২৩)। ভাঙে ৫৬ রানের ওপেনিং জুটি। তিন নম্বরে নামা মুমিনুল হক দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যর্থ। মাত্র ৯ রান করে জার্ভিসের বলে বোল্ড হয়ে যান ‘টেস্ট স্পেশালিস্ট’ খ্যাত এই ব্যাটসম্যান। একপ্রান্ত আগলে ভালোই খেলছিলেন ইমরুল কায়েস। কিন্তু ব্যক্তিগত ৪৩ রানে তিনি সেই সিকান্দার রাজার বলে বোল্ড হয়ে যান। ৮৩ রানে শীর্ষ তিন ব্যাটসম্যান হারিয়ে বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ।
এরপর নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট পড়তে থাকে। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এই ইনিংসেও ব্যর্থ। ১৬ রান করে সিকান্দার রাজার তৃতীয় শিকার হন তিনি। সুযোগ পেয়েও কিছু করে দেখাতে পারেননি নাজমুল হোসেন শান্ত (১৩)। সিকান্দার রাজার চতুর্থ শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেন এই তরুণ ব্যাটসম্যান।
এর আগে গতকাল সোমবার বিনা উইকেটে ২৬ রান তুলে তৃতীয় দিন শেষ করেছিল বাংলাদেশ। তাইজুল-মিরাজ-অপুদের ঘূর্ণিতে ১৮১ রানে জিম্বাবুয়ের দ্বিতীয় ইনিংস শেষ হয়। সর্বোচ্চ ৪৮ রান করেন অধিনায়ক মাসাকাদজা। ম্যাচে দ্বিতীয়বারের মতো পাঁচ উইকেট নেন তাইজুল। এতে বাংলাদেশের চতুর্থ বোলার হিসেবে টেস্টে নূন্যতম ১০ উইকেট পাওয়া হয়ে যায় তার। ৩ উইকেট নেন মিরাজ এবং দুটি নেন নাজমুল অপু। বাংলাদেশের সামনে টার্গেট দাঁড়ায় ৩২১ রানের।
এর আগে প্রথম ইনিংসে ২৮২ রানে অল-আউট হয় জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশের হয়ে ৬ উইকেট নেন তাইজুল। কিন্ত নিজেদের প্রথম ইনিংসে চরম ব্যর্থতার পরিচয় দেয় স্বাগতিক ব্যাটসম্যানরা। দ্বিতীয় দিনে দেড় সেশনেই অল-আউট হয় মাত্র ১৪১ রানে। অভিষিক্ত আরিফুল হক ৭ নম্বরে নেমে সর্বোচ্চ ৪১* রান করেন। ১৩৯ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে জিম্বাবুয়ে।
সিলেট টেস্ট জিততে হলে রেকর্ড করতে হবে বাংলাদেশকে টেস্টে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ জয় ২১৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করে। ২০০৯ সালের জুলাইয়ে সেইন্ট জর্জে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এই রান চেজ করে ৪ উইকেটে জিতেছিল মুশফিকুর রহিমের দল।