আখাউড়া-আগরতলা রেললাইন নির্মান কাজ পুরোদমে শুরু
বিশেষ প্রতিনিধি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া : আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ নির্মান প্রকল্পের বাংলাদেশ অংশের কাজ পুরোদমে শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ-ভারতের দুই প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পর ভারতের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান টেক্সমেকো রেল এবং ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড এই প্রকল্পের কাজ করছে। আগামী দেড় বছরে এই প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হবে বলে গতকাল মঙ্গলবার টেক্সমেকো কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।
আখাউড়া রেলওয়ে প্রকৌশল বিভাগ জানায়, বাংলাদেশের আখাউড়া রেলজংশন থেকে ভারত ত্রিপুরা সীমান্ত পর্যন্ত বাংলাদেশ অংশের ১০ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ কাজ শুরু করেছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ভারতের টেক্সমেকো। আখাউড়া-আগরতলা ১৫ কিলোমিটার রেলপথের মধ্যে ভারত অংশের ৫ কিলোমিটার রেলপথ নির্মান কাজও চলছে।
গতকাল সরেজমিন গিয়ে দেখাগেছে বাংলাদেশের অংশে আখাউড়ার গঙ্গাসাগর রেলেস্টেশন থেকে সীমান্তবর্তী আখাউড়া মনিয়ন্দ ইউনিয়নের শিবনগর পর্যন্ত রেলপথ নির্মানের জন্য মাটি ও বালি ভরাট কাজ করা হচ্ছে। এখানে অধিগ্রহনকৃত ৫৬.৩৬ একর ভূমিতে রেললাইন নিমান কাজ চলছে।
এসময় ভারতীয় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান টেক্সমেকোর সিনিয়র ইঞ্জিনিয়ার তরিকুল ইসলাম বলেছেন, আখাউড়া-আগরতলা রেললাইন নির্মান প্রকল্পের বাংলাদেশ অংশের কাজ দ্রুত চলছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এই কাজ সম্পন্ন হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
প্রকল্প সূত্রে জানাগেছে, আখাউড়া-আগরতলা রেললাইন নির্মান প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে এক হাজার কোটি টাকা। বাংলাদেশ অংশের ১০ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৭৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা। এই টাকার মধ্যে ভারত থেকে অনুদান হিসাবে পাওয়া গেছে ৪২০ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। অবশিষ্ঠ ৫৭ কোটি টাকা সরকারী ফান্ড থেকে ব্যয় করা হবে। বাংলাদেশের দিকে প্রথম রেলস্টেশন হবে আখাউড়া গঙ্গাসাগর।
ভারতের নিশ্চিন্তপুর হবে সীমান্ত স্টেশন ও রেল ইয়ার্ড। আখাউড়া-আগরতলা রেল সংযোগ হবে ডুয়েল গেজ। বাংলাদেশ অংশে ১০ কিলোমিটার মূল রেলপথ ছাড়াও ৪ দশমিক ২৫ কিলোমিটার লুপ লাইন রাখা হবে। ৩টি মেজর ও ২০টি মাইনর ব্রীজ নির্মাণ হবে। আখাউড়া, গঙ্গাসাগর ও নিশ্চিন্তপুর স্টেশনে কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত সিগনালিং ব্যবস্থাও স্থাপন করা হবে। এই রেললাইন নির্মাণ কাজ তদারকি করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে ও ভারতের ইরকন।