আইয়ুব বাচ্চুকে ইউএস বাংলার অভিনব সম্মাননা (ভিডিও)
দাফনের জন্য আইয়ুব বাচ্চুর লাশ গতকাল রাত ৩টায় সড়ক পথে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল চিটাগাং।
হুট করে ইউএস বাংলা এয়ারলাইন জানালো, ‘আমরা এই লিজেন্ডের সম্মানে ট্রিবিউট দিতে চাই। আমরা উনাকে পৌঁছে দেই প্লীজ চিটাগাং?’
কিছুক্ষণ আগে উনার ডেড বডিসহ উনার পরিবার এবং বেশ কিছু শুভাকাঙ্ক্ষীসহ তাদের একটি স্পেশাল ফ্লাইট চিটাগাং এয়ারপোর্টে অবতরণ করেছে।
কী চমৎকার একটা ট্রিবিউট! এয়ারপোর্টে স্বয়ং চিটাগাং এর মেয়রসহ হাজারো মানুষ দাঁড়িয়ে আছে ডেড বডি রিসিভ করতে।
এক শব্দশিল্পীর সম্মানে পুরো চিটাগাং নিঃশব্দে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে আছে। অনেক গর্ব নিয়ে লেখাটা লিখছি।
সবার ভাগ্য এরকম হয় না। আবার সবার ভাগ্যে এরকম ভাগ্যওয়ালা মানুষকে সামনাসামনি দেখার বা তার গল্প বলার ভাগ্যও হয় না।
আমরা খুব ভাগ্যবান একটা জেনারেশান। এই বছর খুব বড় করে শীতার্তদের জন্য ‘কনসার্ট ফর কম্বল’ হওয়ার কথা ছিল।
উনাকে বলেছিলাম, “আপনি কি স্টেইজে জেমসের ২ টা গান গাইতে পারবেন?”
উনি বললেন ‘তাতে কম্বল বেশি আসবে?’
“হ্যা আসবে। এখন যদি বলি কনসার্টের টিকেট ৩টা কম্বল, তাও হুড়মুড় করে মানুষ কম্বল নিয়ে আসবে এই কনসার্ট দেখার জন্য।”
‘ইন্টারেস্টিং’
“হ্যা বাচ্চু ভাই। ব্যাপারটা এরকম হবে। মাইলস গাইবে ওয়ারফেজের ২টা গান। ওয়ারফেজ গাইবে দলছুটের গান। দলছুট গাইবে ফিডবেকের গান। ফিডব্যাক গাইবে সোলসের গান। নোভা গাইবে ডিফারেন্ট টাচের গান। ডিফারেন্ট টাচ গাইবে রেনেসাঁর গান। এভাবে করব ভাবছি।”
‘এতো কম্বল রাখবি কৈ রে? আমার নিজেরই তো কম্বল হাতে করে নিয়ে এই কনসার্টে দেখতে আসতে ইচ্ছে করছে।’
আর আগানো হয়নি এই প্রজেক্ট নিয়ে। উনি এগিয়ে চলে গেছেন এক অন্য দেশে।
তবে চোখ বন্ধ করেই বলা যাচ্ছে আজ থেকে বাংলাদেশে যতগুলো কনসার্ট হবে, সেখানে সব ব্যান্ড তাদের গান শুরু করার আগে বাচ্চু ভাইয়ের যেকোনো একটা গান গেয়ে উনাকে ট্রিবিউট দিয়ে কনসার্ট শুরু করবে।
উনার প্রজেক্ট একদম যে হারিয়ে যাচ্ছে তা না। কম্বল হয়ত উঠবে না। কিন্তু উনি যে উষ্ণতা নিয়ে ওপারে ফিরেছেন, এটাই বা কয়জনের ভাগ্যে হয়?
আজ উনাকে নিয়ে লিখতেও খুব গর্ব হচ্ছে।
হোম পেজে ঘেঁটে দেখেন, আপনার কোন বন্ধুটির সঙ্গে উনার ছবি তোলা নেই বলেন তো? আমি তো কাল থেকে অবাক হয়ে দেখছি একজন মানুষ জীবনে এতো ছবি তুলে যেতে পারে?
সবার ভাগ্য এরকম হয় না। আবার সবার ভাগ্যে এরকম ভাগ্যওয়ালা মানুষকে সামনাসামনি দেখার বা তার গল্প বলার ভাগ্যও হয় না।
আমরা খুব ভাগ্যবান একটা জেনারেশান।
আরিফ আর হোসেনের ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে।