খেলাধুলা যুবসমাজকে বিপথগামী থেকে রক্ষা করে : প্রধানমন্ত্রী
নিউজ ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, খেলাধুলা যুবসমাজকে বিপথগামী থেকে রক্ষা করে। মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ থেকে দূরে রাখে। আমার বিশ্বাস, যুবসমাজকে যদি আমরা ক্রীড়া কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সক্রিয় রাখতে পারি তাহলে সহজেই এদেশ থেকে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নির্মূল করতে পারব। যুবসমাজ এ দেশের সম্পদ। উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে এ যুবশক্তিকে কাজে লাগাতে হবে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ আন্তর্জাতিক ফুটবল প্রতিযোগিতা-২০১৮ এর ফাইনাল খেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত এবং পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, শত ব্যস্ততার মাঝে আমি যখনই সুযোগ পাই, বাংলাদেশের খেলা দেখার জন্য স্টেডিয়ামে ছুটে যাই। আসলে খেলাধুলার প্রতি ভালোবাসা আমার রক্তের মধ্যেই রয়েছে। তিনি বলেন, জাতির পিতা খেলাধুলা করতেন। স্কুল জীবনে তিনি ছিলেন একজন সেরা ফুটবল খেলোয়াড়। আমার দাদাও ফুটবল খেলতেন। শেখ কামাল ও শেখ জামাল ভালো খেলোয়াড় ছিলেন। সাংগঠনিক ক্ষেত্রেও তারা অনেক দক্ষতা দেখিয়েছেন। আমাদের পরিবারের আরেক সদস্য সুলতানা কামাল খুকুও ছিলেন বিশিষ্ট ক্রীড়াবিদ।
শেখ হাসিনা বলেন, একটানা সাড়ে ৯ বছর জনসেবার সুযোগ পেয়েছি বলেই বাংলাদেশ উন্নত হচ্ছে। বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের ‘রোল মডেল’। দারিদ্র্য দূরীকরণ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, প্রযুক্তি, নারীর ক্ষমতায়নসহ নানা ক্ষেত্রে আমরা অনেক উন্নত দেশকেও ছাড়িয়ে যেতে সক্ষম হয়েছি। সম্প্রতি আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জন করেছি। বঙ্গবন্ধু হত্যা বিচারের রায় কার্যকর করেছি। সব বাধা ও ষড়যন্ত্র ছিন্ন করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এগিয়ে চলেছে।
তিনি বলেন, অতি সম্প্রতি ২১-এ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায় হয়েছে। জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ ও মাদক নির্মূলে আমাদের সরকার ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিতে কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য হলো ক্ষুধা, দারিদ্র্য, নিরক্ষরতা, জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার অভিশাপমুক্ত একটি সুখী, সমৃদ্ধ, ন্যায়ভিত্তিক, জ্ঞান-নির্ভর ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ বিনির্মাণ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। আগামী প্রজন্ম পাবে সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ। বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা যেন ব্যাহত না হয়, এ বিষয়ে সচেতন হয়ে সবাইকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাবার আহ্বান জানাচ্ছি। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্যম-আয়ের এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে, ইনশাআল্লাহ। প্রতিষ্ঠিত হবে জাতির পিতার আজীবন লালিত স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ।