সোমবার, ১৫ই অক্টোবর, ২০১৮ ইং ৩০শে আশ্বিন, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ

চট্টগ্রামে দিনভর বৃষ্টি, নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা

অনলাইন ডেস্ক : চট্টগ্রামে ঘূর্ণিঝড় ‘তিতলি’র প্রভাবে দিনভর কখনো থেমে, কখনো মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে। শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ছিল মুষলধারে বৃষ্টি, দুপুরের পর বিকাল পর্যন্ত থেমে থেমে বৃষ্টি হয়। এর সঙ্গে ছিল জোয়ারের পানি। ফলে নগরের অধিকাংশ নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। দুর্ভোগে পড়ে সাধারণ পথচারি ও যাত্রীরা।

পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, ভারতের উড়িষ্যা এবং তৎসংলগ্ন উপকূলীয় এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় তিতলি সামান্য উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে একই এলাকায় নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। শুক্রবার ভোর ৬টায় উড়িষ্যা ও তৎসংলগ্ন উপকূলীয় এলাকায় এটি অবস্থান করছিল। ঘূর্ণিঝড়টি আরও উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমশ দুর্বল হতে পারে।দুপুর ১২টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ৬৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে। কিন্তু সকাল নয়টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড ছিল ৪৫ দশমিক ২ মিলিমিটার।

পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ মেঘনাদ তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় ‘তিতলি’র প্রভাবে গত বৃহস্পতিবার বিকেল তিনটা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হতে পারে এমন সতর্কবাণী ছিল। সকাল নয়টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৪৫ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।’

জানা যায়, বৃষ্টি ও জোয়ারের পানির কারণে নগরীর নিচু এলাকায় জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। তবে সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী ও অভিভাবক এবং কর্মস্থলগামী মানুষের দুর্ভোগ না থাকলেও সাধারণ পথচারিরা, মজুর, শ্রমিক আর নিম্নআয়ের মানুষেরা ভোগান্তিতে পড়েছেন। জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে নগরের নিম্নাঞ্চল- বাকলিয়া, হালিশহর, বড়পুল, ছোট পুল, পতেঙ্গাসহ আশপাশের এলাকা।

এদিকে, টানা বৃষ্টিপাতের কারণে পাহাড়ধসের আশঙ্কায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নগরের ঝুঁকিপূর্ণ কয়েকটি পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীদের সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। দুপুরে নগরের লালখান বাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিলুর রহমান। তিনি বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড় থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে তাদের পাশ্ববর্তী প্রাথমিক স্কুলে রাখা হয়েছে।