কান্না চেপে রাখা উচিত নয় যে কারণে
অনলাইন ডেস্ক : একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে , কান্না খুবই স্বাস্থ্যকর একটা ব্যাপার। এতে শরীর ও মন ভাল থাকে। গবেষণা আরও বলছে, আমরা যখনই কাঁদি, তখন শরীরের ভেতরে এমন কিছু পরিবর্তন হতে শুরু করে যার প্রভাবে শরীরের সঙ্গে সঙ্গে চোখের স্বাস্থ্যেরও উন্নতি ঘটে।
বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন আমাদের চোখ থেকে যদি কম-বেশি ১০ আউন্স পানি বের হয় তাহলে তা শরীরের নানা কাজে লাগে। যেমন-
১. কান্না করলে যন্ত্রণা কমে। যে কোনও ধরনের শারীরিক যন্ত্রণা বা কষ্ট কমাতে কান্নার বিকল্প নেই। কান্না করলে শরীরের ভেতরের অক্সিটসিন এবং এন্ডোজেনাস অপিওডিস নামক দুটি হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়, যার প্রভাবে যে কোনও ধরনের যন্ত্রণা কমে। সেই সঙ্গে মন-মেজাজও চাঙ্গা হয়ে ওঠে।
২. ২০১৫ সালে হওয়া একটি গবেষণায় দেখা গেছে ,কাঁদার সময় আমাদের শরীরের ভিতরে এমন কিছু হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়, যার প্রভাবে তাড়াতাড়ি ঘুম আসে।
৩. যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল ইউনিভার্সিটির গবেষকদের করা এক পরীক্ষায় দেখা গেছে, কাঁদার সময় মনের চঞ্চলতা কমে যেতে শুরু করে। ফলে সুখ কিংবা দুঃখ, যে কারণেই চোখে পানি আসুক না কেন, মনের স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে কোনও কষ্টই হয় না। এজন্য কান্নার পর মনটা হালকা লাগে।
৪. একাধিক গবেষণায় বিশেষজ্ঞরা লক্ষ করেছেন, কাঁদার সময় শরীরে উপস্থিত টক্সিক উপাদান চোখের পানির সঙ্গে বেরিয়ে যায়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই কোনও ধরনের শারীরিক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে না।
৫. জন্ম নেওয়ার পরই নবজাতকের কান্না তার শরীরের উন্নতিতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। প্রথম কান্নার সময়ই বাচ্চার শরীরে অক্সিজেন প্রবেশ করতে শুরু করে। সেই সঙ্গে ফুসফুস ধীরে ধীরে অক্সিজেন গ্রহণ করার পরিস্থিতিতে আসে। ফলে শ্বাস-প্রশ্বাস প্রক্রিয়া স্বাভাবিকভাবে শুরু হতে সময় লাগে না।
৬. ২০১১ সালে ফুড মাইক্রোবায়োলজি জার্নালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কাঁদার সময় চোখের পানির সঙ্গে লাইসোজাইম নামে একটি রাসায়নিকও শরীর থেকে বেরিয়ে আসে। এই উপাদানটি ৫ থেকে ১০ মিনিটের মধ্যে আমাদের শরীরে উপস্থিত প্রায় ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ জীবাণুদের মেরে ফেলে। ফলে সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়।
৭. কাঁদার সময় মস্তিষ্কের ভেতরে প্যারাসিমপ্যাথেটিক নার্ভাস সিস্টেম অ্যাকটিভেট হয়ে যায়। যে কারণে ধীরে ধীরে হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটতে শুরু করে। সেই সঙ্গে শরীর ও মন শান্ত হয়। সূত্র : বোল্ড স্কাই , হেলথ লাইন