‘শিক্ষার্থীর মৃত্যু’ এবং ‘ধর্ষণ’ নিয়ে ফেসবুকে গুজব
দেশে যখন কোনো আন্দোলন শুরু হয়, তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ছড়ানো হয় গুজব। একটি মহল উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য এসব করে থাকে। এতে আখেরে ক্ষতি হয় আন্দোলনকারীদের এবং সাধারণ নিম্নস্তরে থাকা অসহায় মানুষজনের।
চলমান নিরাপদ সড়কের দাবিতে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মাঝেও গুজব রটনাকারীরা থেমে নেই। তিন বছর আগের পুরনো ছবিকেও তারা এই আন্দোলনের বলে চালিয়ে দিচ্ছে।
সবচেয়ে বড় গুজব রটে যায় আন্দোলনের সপ্তম দিন আজ শনিবার। এদিনও সকাল থেকে রাজপথে লাইসেন্স চেক, যানবাহনকে সঠিক লেনে চালানোর কাজ করে যাচ্ছিল শিক্ষার্থীরা। এর মধ্যে দুপুরে রাজধানীর জিগাতলা এলাকায় একদল অস্ত্রধারী যুবকের সঙ্গে সংঘর্ষ বেঁধে যায় কিশোর-কিশোরীদের। এসময় গুলিবর্ষণের ঘটনাও ঘটে। বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারী গুরুতর আহত হয়। সেই সঙ্গে শুরু হয় গুজব।
ফেসবুকের বিভিন্ন পেইজে বলা হয় যে, সংঘর্ষে ২জন শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। আরও ভয়ংকর গুজবটি ছিল, চারজন আন্দোলনকারী ছাত্রীকে ধরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে! তবে কালের কণ্ঠের অনুসন্ধানে এমন খবরের সত্যতা পাওয়া যায়নি। এছাড়া শিক্ষার্থীদের কাছে এমন অভিযোগ শুনে পুলিশ শিক্ষার্থীদের ১০ জনকে সঙ্গে নিয়ে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে যায়। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা শিক্ষার্থীদের দলের কার্যালয় ঘুরিয়ে দেখান।
পরে শিক্ষার্থীরা সাংবাদিকদের বলেন, ওই খবরগুলো গুজব ছিল।
এদিকে, অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদ নিজের ফেসবুক পেইজে এমন গুজবের কথা উল্লেখ করে একটি লাইভ ভিডিও পোস্ট করেন। যা মুহূর্তের মধ্যে হাজার হাজার শেয়ার হয়ে যায়। কিন্তু পরে যোগাযোগ করা হলে নওশাবা সামাজিক মাধ্যমে তার প্রচারিত ‘এই খবরের’ উৎস সম্পর্কে বলেন, ‘আমার তথ্য যদি ভুল হয়ে থাকে, আমি যার কাছ থেকে শুনেছি, তাকে আমার জিজ্ঞাসা করতে হবে।’ কিন্তু ভিডিওতে তিনি যেভাবে উত্তেজনাকর ভঙ্গিতে বলছিলেন তাতে মনে হওয়া স্বাভাবিক ছিল যে তিনি বুঝি অমন ‘ঘটনা’ নিজ চোখে ঘটতে দেখেছেন।
সূত্র: কালের কণ্ঠ