বন বিভাগের নিজস্ব লঞ্চে চলছে দেহ ব্যবসা
বাগেরহাট প্রতিনিধি: বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের ফুয়েল জেটির রেস্টহাউজ ও জেটিতে থাকা ‘বাঘ রক্ষী-১’ নামে বন বিভাগের নিজস্ব লঞ্চে দীর্ঘদিন ধরে নারীদের দিয়ে চলে আসা দেহ ব্যবসার ঘটনা ফাঁস হয়ে পড়েছে। বিভাগীয় বন কর্মকর্তার নির্দেশে সুন্দরবন বিভাগের জড়িত ৩ কর্মচারীর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছেন চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) মো. শাহিন কবির।
রোববার সুন্দরবন বিভাগের নিজস্ব ওই লঞ্চেরই লস্কর মো. চাঁন মিয়া চান্দু, বিভাগীয় বন কর্মকর্তার স্পিডবোট ড্রাইভার মনিরুজ্জামান বদি, ফুয়েল জেটি রেস্টহাউজের অফিস সহকারী আনোয়ার হোসেন, আরেক বোটের ড্রাইভার আবু ইউসুফ তপু খুলনার পাইকগাছা উপজেলার এক মেয়ের (২৫) সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় জনতার হাতে ধরা পড়েন।
এছাড়াও কয়েক মাস আগে মোংলা ফুয়েল জেটির রেস্টহাউজের বাসভবন বানিশান্তা পতিতাপল্লীর তিনি যৌনকর্মীদের নিয়ে ফুর্তি করার সময় বন কর্মকর্তার স্পিডবোট ড্রাইভার মনিরুজ্জামান বদিকে স্থানীয় জনতা আটক করে বলে অভিযোগ রয়েছে।
বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. মাহমুদুল হাসানের নির্দেশে চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) মো. শাহিন কবির তদন্ত শুরু করেছেন।
এ বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তা এসিএফ মো. শাহিন কবির বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন বিভাগীয় বন কর্মকর্তার কাছে দাখিলের পর তিনিই পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নিবেন।
তবে এ বিষয়ে চাঁদপাই রেঞ্জের স্টেশন কর্মকর্তা মো. কামরুল ইসলাম বলেন, আপত্তিকর ও লজ্জাজনক এ ঘটনার সঙ্গে পুরো সুন্দরবন বিভাগের মানসম্মান জড়িত, আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত বদি, আনোয়ার, চান্দু ও তপু বলেন, ওই মেয়টি আমাদের দুঃসম্পর্কের বোন হয়। তিনি সুন্দরবন দেখার উদ্দেশ্যে খুলনা থেকে আমাদের কাছে বেড়াতে এসে ছিল, এরচেয়ে বেশি কিছু নয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রেস্টহাউজের পার্শ্ববর্তী মসজিদ কমিটির এক সদস্য বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বদি, আনোয়ার, সিরাজ, তপু ও চান্দু পার্শ্ববর্তী পশুর নদীর পাড়ের বানীশান্তা পতিতাপল্লীর যৌন কর্মীদের দিয়ে রেস্টহাউজ ও লঞ্চে দেহ ব্যবসা করে যাচ্ছেন। বিষয়টি সুন্দরবন বিভাগের কর্মকর্তাদের জানালেও তাদের কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। সে কারণে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, বিষয়টি আমি জেনেছি এবং এসিএফ শাহিন কবিরকে তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তার তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলেই ব্যবস্থা নেয়া হবে। আরটিভি অনলাইন