রবিবার, ২৯শে জুলাই, ২০১৮ ইং ১৪ই শ্রাবণ, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ

রাজশাহীতে মেস বন্ধ, বিপাকে শিক্ষার্থীরা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ছাড়াও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্লাস-পরীক্ষা অব্যহত থাকলেও সিটি করপোরেশন নির্বাচনের জন্য শিক্ষার্থীদের মেস ছাড়তে নির্দেশ দিয়েছে মালিক পক্ষ। আগামী ২৭ জুলাই থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের মেসে অবস্থান না করতে মৌখিক ও লিখিতভাবে নির্দেশ দেয় নগরীর বিভিন্ন মেসের মালিকরা। এমন সিদ্ধান্তে ভোগান্তিতে পড়েছেন মেসে অবস্থানরত হাজার-হাজার শিক্ষার্থী। তবে নগর পুলিশ কর্তৃপক্ষ ও মেস মালিক সমিতি বলছে, এ ধরণের কোন নির্দেশনা তাদের দেয়া হয়নি।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, রাবি ক্যাম্পাসে প্রায় সাড়ে ৩৫ হাজার শিক্ষার্থীদের জন্য ১৭টি আবাসিক হলে সাড়ে ৮ হাজার শিক্ষার্থীর আবাসনের ব্যবস্থা রয়েছে। বাকি ২৫ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন মেসগুলোতে অবস্থান করতে হয়। ফলে মেসে অবস্থানরত শিক্ষার্থীরা মেস মালিকদের হঠাৎ সিদ্ধান্তে ভোগান্তিতে পড়েছেন। এছাড়া রাজশাহী কলেজ, রুয়েটের যেসব শিক্ষার্থী মেসে কিংবা হোস্টেলে থাকেন তাদেরও মেস ছাড়তে বলা হয়েছে বলে জানা গেছে।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ক্যাম্পাস খোলা থাকা সত্বেও মালিক পক্ষ নিজেদের সুবিধার মেস বন্ধ রাখছে। থাকার জায়গা না থাকায় বাধ্য হয়ে ক্লাস পরীক্ষা ছেড়ে বাড়িতে চলে যেতে হচ্ছে তাদের।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা বলেন, শিক্ষকদের মাধ্যমে শুনেছি শিক্ষার্থীদের মেস ছাড়ার নির্দেশ দেয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে উপাচার্যের সঙ্গে কথাও বলেছি। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধের কোন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি।

তবে মেস মালিকদের দাবি, তারা নির্বাচন কমিশন ও পুলিশের নির্দেশনায় মেস বন্ধ রাখছেন। জানতে চাইলে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা সৈয়দ আমিরুল ইসলাম বলেন, সিটি নির্বাচনের সময় নির্বাচনী এলাকায় কাকে রাখবে বা না রাখবে সেটা পুলিশের ব্যাপার।

নগর পুলিশের মুখপাত্র ইফতেখায়ের আলম বলেন, কোন মেস মালিককে শিক্ষার্থীদের মেস ছেড়ে চলে যেতে হবে এমন নোটিশ দিতে বলা হয়নি। মেস মালিকদের জানানো হয়েছে নির্বাচনের সময় মেসে যেন কোন গেস্ট না থাকে। নির্বাচনী নিরাপত্তার কথা ভেবেই এমন নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

জানতে চাইলে মেস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ঈসমাইল হোসেন বলেন, প্রথমে নির্বাচন কমিশনের নোটিশের ওপর ভিত্তি করে মেস বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মালিকরা। এখন পুলিশ ও মেস মালিকদের সঙ্গে আলোচনা করে আবার সিদ্ধান্ত নিতে হবে।