‘রস’কে ১২ লাখ টাকা জরিমানা
নিজস্ব প্রতিবেদক: অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও নোংরা পানি ব্যবহার করে মিষ্টি, দই ও সেমাই বানানোর অভিযোগে ‘রস’ মিষ্টির কারখানাকে ১২ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়নের (র্যাব-১০) ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বুধবার দুপুরে রাজধানীর ডেমরার কাজলা এলাকায় রসের কারখানায় অভিযান চালায় র্যা বের ভ্রাম্যমাণ আদালত। র্যাব-১০ ও বিএসটিআই এর সহযোগিতায় পরিচালিত এই ভ্রাম্যমান আদালতের নেতৃত্ব দেন র্যাবের নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম।
আরও : ঈদের প্রস্তুতি
সারওয়ার আলম বলেন, ‘দুই বছর আগে এই কারখানাকে ৬ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছিল। তখন সতর্ক করা হয়েছিল ভুল-ত্রুটিগুলো শুধরানোর জন্য। কিন্তু বুধবারের অভিযানে এসে চিত্র আরও ভয়াবহ দেখা গেছে। ডালডা রাখার পাশের স্থানে জুতো ও ময়লা রাখা হয়েছে। ড্রামের মধ্যে নোংরা পানিতে ছানা ভিজিয়ে রাখা হয়েছে। মিষ্টির মধ্যে অসংখ্য মাছি ও মশা মরে আছে। তেলাপোকাও পাওয়া গেছে। মনে হচ্ছিল মিষ্টির চেয়ে মরা মাছি ও মশার সংখ্যাই বেশি। আগের চেয়ে কারখানার অবস্থা খুবই খারাপ হয়ে গেছে। এবার ১২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে ম্যানেজারসহ চারজনের ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
ম্যজিস্ট্রেট আরও বলেন, ‘সয়াবিনে ভাজা লাচ্ছা সেমাই ঘিয়ে ভাজা নাম করে বিক্রি করা ক্রেতাদের সঙ্গে এক ধরণের প্রতারণার শামিল। এটা মারাত্মক অপরাধ। কারণ এক কেজি ঘিয়ে ভাজা সেমাই বিক্রি করছেন এনারা ৭০০ টাকা। কিন্ত এক কেজি সয়াবিনে ভাজা লাচ্ছা সেমাইয়ের দাম মাত্র ৮০ থেকে ১২০ টাকা।’
গত ১২ বছর ধরে ইঞ্জিনিয়ার রবিউল হাসনাত নামে এক ব্যক্তি রস মিষ্টির ব্যবসা শুরু করেন। পাশাপাশি ঘি, দই, নিমকি, সেমাই ও রসমালাই তৈরি করে থাকে প্রতিষ্ঠানটি। ঢাকা শহরে তাদের ২০টির মতো আউটলেট রয়েছে।