সোমবার, ৪ঠা জুন, ২০১৮ ইং ২১শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ

আফ্রিকায় খাবার জোগায় বাংলাদেশ

ডেস্ক রিপোর্ট: সেন্ট্রাল আফ্রিকা রিপাবলিকের প্রায় অর্ধ কোটি মানুষের খাবারসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী আসে ৬১০ কিলোমিটার দীর্ঘ একমাত্র সড়কপথ হয়ে ক্যামেরুন থেকে। বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীরা এই দীর্ঘ পথ পাহারা দিয়ে পণ্যসামগ্রী পৌঁছে দেন রাজধানী বাঙ্গিতে। নইলে অভুক্তই থাকতে হতো অসংখ্য মানুষকে। অন্যদিকে মালিতে প্রায় ১৩ হাজার বহুজাতিক শান্তিরক্ষীর নিত্যদিনের খাবার, অস্ত্র ও সব সরঞ্জাম আনতে হয় ১২০০ থেকে ১৮০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে। ৩০-৪০ দিন রাস্তায় কাটিয়ে। জীবন ঝুঁকির এই যাত্রায়ও বাংলাদেশই একমাত্র ভরসা।

একেই বলে এক যাত্রায় অনেক ফল। সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক ও মালিতে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের কার্যক্রম দেখতে গিয়ে সঙ্গে আরও অনেক দেশই দেখা হয়ে গেল। কাতারের দোহা ও মরোক্কোর কাসাব্লাঙ্কায় দীর্ঘ যাত্রাবিরতি শেষে ক্যামেরুন ছুঁয়ে ৪০ ঘণ্টা পর যখন রাজধানী বাঙ্গিতে নামলাম, ক্লান্তি তখন শরীর জেঁকে বসেছে। তখন স্থানীয় সময় ১৪ মে বিকাল। আমাদের গন্তব্য প্রায় সাড়ে ৫শ কিলোমিটার দূরের বোয়াক প্রদেশ। সড়ক পথে। দ্রুত হাত মুখ ধুয়ে

দুপুরের খাবার খেয়ে আবার ছুটতে হলো। কারণ, সন্ধ্যার আগেই আমাদের রাত্রিবাসের নির্ধারিত বোসামতেলে ক্যাম্পে পৌঁছাতে হবে। বাঙ্গি টু ক্যামেরুন ৬১০ কিলোমিটার দেশের একমাত্র সড়ক ধরে এগোচ্ছি আমরা। আমাদের ৫ সদস্যের মিডিয়া টিমের দলনেতা সেনা সদরের লে. কর্নেল আজহারুল ইসলাম। মিশনের শুরুতে ২০১৪ সালেই তিনি সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকে দায়িত্ব পালন করে গেছেন। বললেন, দীর্ঘ এই রাস্তাটির নিরাপত্তার দায়িত্ব বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের। এদেশের কোনো সমুদ্র বন্দর নেই। ক্যামেরুন থেকে খাবারসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী আসে কঠোর পাহারার মধ্য দিয়ে। এ জন্য জাতিসংঘ বাংলাদেশ থেকে পৃথক চাহিদা জানিয়ে স্পেশাল ফোর্স আনিয়েছে। সিলেটের জালালাবাদ সেনানিবাসে প্যারাকমান্ডো ট্রেনিংয়ের মধ্য দিয়ে এই স্পেশাল ফোর্সের যাত্রা শুরু। বিশেষভাবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এই স্পেশাল ফোর্সের সদস্যরা এদেশের জন্য ক্যামেরুন থেকে আসা খাদ্য পণ্য সামগ্রী পাহারা দিয়ে গন্তব্যে পৌঁছে দেয়। স্পেশাল ফোর্স ছাড়া কোনো কনভয় মুভ হয় না। কঠোর নিরাপত্তা ছাড়া কোনো গাড়ি এই দীর্ঘ রাস্তায় চলতে পারে না। জাতিসংঘ দুটি স্পেশাল ফোর্স চেয়েছিল বাংলাদেশের কাছে। বাংলাদেশ পাঠিয়েছে একটি  স্পেশাল ফোর্স। গুরু দায়িত্ব এখন তাদেরই কাঁধে। দেশটির বিবদমান গ্রুপগুলোর সাম্প্রতিক তৎপরতা এত বেশি যে, পাহারা না থাকলে মুহূর্তেই পণ্যবাহী কনভয় লুট হয়ে যেতে পারে। না খেয়ে থাকতে হবে অসংখ্য মানুষকে।

অন্যদিকে মালিতে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে বহুজাতিক বাহিনীর প্রায় ১৩ হাজার শান্তিরক্ষী (মিলিটারি স্টাফ অফিসারসহ) দায়িত্ব পালন করছে। এখানেও জীবনঝুঁকির আশঙ্কা নিয়ে কাজ করছেন শান্তিরক্ষীরা। বাংলাদেশের প্রায় ৯ গুণ বড় দেশটির উত্তরের বিস্তৃত এলাকা জুড়ে সাহারা মরুভূমি। তাপমাত্রা থাকে ৪৬ থেকে ৫০ ডিগ্রির মধ্যে। থাকার জায়গা, গাড়ি সর্বত্রই এসি। বাইরে বেরুলে আগুনের হলকা যেন শরীরে লাগে। সেখানেই সন্ত্রাসী, বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলোর তৎপরতা খুব বেশি। জাতিসংঘ সরকারের সহায়তায় দেশটিতে শান্তি প্রতিষ্ঠার তৎপরতায় নিয়োজিত। এ জন্য সরকারের পাশাপাশি শান্তিরক্ষীরাও সন্ত্রাসীদের লক্ষ্যবস্তু। গত ৪ বছরে সন্ত্রাসীদের হামলায় ১৪৫ জন শান্তিরক্ষী জীবন দিয়েছেন। বাংলাদেশ হারিয়েছে ১৯ জন শান্তিরক্ষীকে। বৈরী আবহাওয়া, বিরু সামাজিক পরিবেশকে সামনে রেখেই কাজ করছেন বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা। মালির রাজধানী বামাকোতে নিয়োজিত রয়েছে বাংলাদেশ ট্রান্সপোর্ট (ব্যান ট্রান্সপোর্ট) কোম্পানি। তাদের অন্যতম দায়িত্ব প্রায় ১৩ হাজার শান্তিরক্ষীর নিত্যদিনের খাবার, অস্ত্রসহ অন্যান্য সরঞ্জাম বিভিন্ন ক্যাম্পে পৌঁছে দেওয়া। ক্যাম্পগুলোর দূরুত্ব ৮শ, ১২শ, ১৮শ কিলোমিটার পর্যন্ত। রাতের বেলা কনভয় মুভ হয় না। ফলে, দিনে দিনে সারতে হয় যাত্রা। সেই হিসাবে যেখানে একটি গন্তব্যে ৮-১০ দিন সময় লাগার কথা, সেখানে ৩০-৪০ দিনও রাস্তায় কাটাতে হয় ব্যান ট্রান্সপোর্টের সদস্যদের। কখনো খোলা আকাশের নিচে ধু-ধু মরুভূমিতে রাত কাটাতে হয় শান্তিরক্ষীদের। কনভয়ের সঙ্গে থাকে এক দেড় মাসের খাবার উপকরণ। রান্না করতে হয় পথেই। কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হয় রাস্তাতেই। সে জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক ডাক্তার, নার্সসহ একটি মেডিকেল ভ্যানও থাকে গাড়ি বহরে। সশস্ত্র এই কনভয় সারা দেশ ঘুরে খাবারসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছে দেয়। এটাকে বলা হয় ‘মেইন সাপ্লাই রুট’ বা এমএসআর। সশস্ত্র এই কনভয় যাত্রায় পুরুষদের পাশাপাশি নারী শান্তিরক্ষীরাও অংশ নেন।

দীর্ঘ যাত্রায় সন্ত্রাসীদের হামলার ভয় থাকে। থাকে চলতি পথে আইইডি (ইমপ্রোভাইসড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস) বিস্ফোরণের আতঙ্ক। কিন্তু এসব প্রতীক লতাকে উপেক্ষা করে সামনে এগোতে থাকে পণ্যবাহী গাড়ির বহর। যাত্রার আগে স্রষ্টার কাছে প্রার্থনা করা হয়, যেন পুরো যাত্রাটা নির্বিঘ্ন হয়। সবাই যেন অক্ষত অবস্থায় ফিরে আসতে পারেন ক্যাম্পে।

 

আরও : প্রয়োজনে জাকির নায়েককে গ্রেপ্তার করবে মালয়েশিয়া

মালিতে নিয়োজিত এক শান্তিরক্ষী বলেন, আমরা যখন কনভয় নিয়ে মুভ করি তখন জীবনের কোনো মায়া থেকে না। নিরাপত্তার কারণে রাতে চলাচল বন্ধ থাকে। তখন খোলা মাঠেও আমাদের তাঁবু টাঙিয়ে থাকতে হয়। সেখানেই রান্না, খাওয়াসহ পরবর্তী ভোরের অপেক্ষা করতে হয়। এ সময় ডাক্তার, নার্স, কুক পর্যন্ত কনভয়ের সঙ্গে থাকে।

মালির রাজধানী বামাকোতে নিয়োজিত বাংলাদেশ ট্রান্সপোর্ট কোম্পানির সদস্যদের মূল কাজ হচ্ছে বামাকো থেকে কিদাল কিংবা দূরবর্তী স্থানে মোতায়েন শান্তিরক্ষীদের জন্য প্রয়োজনীয় রসদ সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া। এ কাজটি তারা নানা প্রতীক লতা সত্ত্বেও দক্ষতার সঙ্গে পালন করে যাচ্ছে। মরুভূমির দুর্গম পথ দিয়ে ১৬০০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে তারা রসদ সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছে কিদালে। পথিমধ্যে রয়েছে বিদ্রোহীদের হামলার আশঙ্কা, রয়েছে মাইন আক্রমণের মুখোমুখি হওয়ার আশঙ্কা। আর প্রাকৃতিক দুর্যোগ হিসেবে মরুঝড় ও বালুঝড় প্রায়ই আঘাত হানে গাড়ি বহরকে। এ সময় গাড়িগুলো থামিয়ে ২-৩ দিন পর্যন্ত বসে থাকতে হয়। অত্যধিক তাপমাত্রার কারণে গাড়ির চাকা বসে যায়।

কিদালে রসদ সরবরাহ করা হয় বামাকো থেকে সড়কপথে। তবে এ পথকে সড়ক বলা যায় না। সড়কের অধিকাংশ জায়গাই রয়েছে মাইন বিস্ফোরণের ভয় ও বিদ্রোহীদের হামলার আশঙ্কা। বিদ্রোহীরা রাস্তায় চৌম্বক মাইন পুঁতে রাখে। চলন্তু গাড়িতে মাইন নিক্ষেপ করে রিমোট কন্ট্রোল দিয়ে বিস্ফোরণ ঘটায়। তাছাড়া রয়েছে ধূলিঝড় ও অত্যধিক তাপমাত্রা। রসদ পরিবহনে অনেক সময় লাগার কারণে মাছ, মাংস শাকসবজি ইত্যাদি ৩০%-৪০% নষ্ট হয়ে যায়।

মালিতে বর্তমানে ১১ হাজার ৩৩৮ জন ট্রুপস ও মিলিটারি স্টাফ মিলিয়ে ১৩ হাজার ১৬৮ জন শান্তিরক্ষী দায়িত্ব পালন করছে। এসব শান্তিরক্ষীর নিত্যদিনের প্রয়োজনীয় সামগ্রী নিরাপদে পৌঁছে দিতেই গত চার বছর ধরে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছে বাংলাদেশ ট্রান্সপোর্ট কোাম্পানি।

ব্যানট্রান্সপোর্টের কন্টিনজেন্ট কমান্ডার  লে. কর্নেল এফতেখার উদ্দিন বলেন, গত এক বছর ধরে আমরা ১৯টি কনভয় মুভ পরিচালনা করেছি এবং কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ছাড়াই কাজ শেষ করেছি। ২০১৪ সালে মালির বামাকোতে বাংলাদেশ ট্রান্সপোর্ট কন্টিনজেন্ট চালু করে। ইউএন আমাদের সরকারের কাছে প্রাথমিকভাবে দুটি ট্রান্সপোর্ট কন্টিনজেন্ট চালুর অনুরোধ করেছিল।

কর একটি পরিসংখানই সাক্ষ্য দেয়। জানুয়ারি ২০১৬ সাল থেকে গত ২ মে পর্যন্ত মালিতে মোট ৮৯টি হামলা ও নাশকতার ঘটনায় ১১৯ জন শান্তিরক্ষী নিহত হয়েছেন। সার্বিক ঝুঁকি বিবেচনায় এটিকে বিশ্বের এক নম্বর বিপজ্জনক শান্তিরক্ষা মিশনের স্বীকৃতি দিয়েছে জাতিসংঘ। উল্লেখ্য, গত ফেব্রুয়ারিতে মালিতে আইইডি (ইমপ্রোভাইসড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস) বিস্ফোরণে চার বাংলাদেশি প্রাণ হারান। এরপর থেকেই  শান্তিরক্ষীদের নিজেদের নিরাপত্তার দিকেই জোর দিতে হচ্ছে বেশি। সংগ্রহ করতে হচ্ছে অত্যাধুনিক নিরাপত্তা সরঞ্জাম ও যোগাযোগ উপকরণ। উল্লেখ্য, মালির সরকারি বাহিনী, বড় সুবিধাভোগী ফ্রান্সের বারখান, পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর সমন্বয়ে গঠিত সশস্ত্র গ্রুপ জি-৫ এবং জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা বাহিনীর ক্রমাগত তৎপরতা সত্ত্বেও মালির উত্তরাঞ্চলে সংঘাত বন্ধ করা যাচ্ছে না। শান্তিরক্ষীরা তাদের অন্যতম টার্গেট হলেও বাদ যাচ্ছে না সাধারণ মানুষসহ কোনো পক্ষই। এমন কোনো সপ্তাহ নেই যে, এইভাবে লোকজন নিহত হচ্ছে না। তিম্বকতু রিজিয়নাল ইউএন বেইজ গত বছরের শেষে এক মাসে চারবার রকেট আক্রমণের শিকার হয়েছে।

এই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরাও অত্যাধুনিক নিরাপত্তা সরঞ্জাম ও যোগাযোগ উপকরণ ব্যবহার করছে। সেনাবাহিনীতে যুক্ত হয়েছে মাইন রেজিস্ট্যান্স আর্মার প্রোটেক্টটেড ভেহিকল (এমর‌্যাভ)। এই গাড়ির নিচে যদি মাইন পড়ে সেটা সে প্রোটেক্ট করবে এবং চতুর্দিকে ১০০ মিটার পর্যন্ত জ্যামার তৈরি করতে পারে। যার মাধ্যমে রিমোট কন্ট্রোলে যদি কেউ মাইন বিস্ফোরণ ঘটাতে চায় তাহলে সেটা ব্যর্থ হবে। এই গাড়ির চাকার বিশেষত্ব হলো, এর চাকা যদি কোনো হামলায় পাংচার হয়ে যায় তাহলেও এটি ২০-৩০ কিলোমিটার অনায়াসে পেরিয়ে যেতে পারবে। উপরে যে সৈন্য থাকে সে না থাকলেও এটি ভিতর থেকে অপারেট করা যায়। এটি একেবারে মডার্ন ভেহিকেল বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যুক্ত হয়েছে। বিশ্বের এক নম্বর ঝুঁকিপূর্ণ শান্তিরক্ষা মিশন মালিতে সার্বিক ঝুঁকি বিবেচনায় এই যানটি ব্যবহূত হচ্ছে। এ ছাড়াও সেন্ট্রাল আফ্রিকা ও মালিতে আমাদের শান্তিরক্ষীরা শত শত যানবাহন ও সামরিক সরঞ্জাম ব্যবহার করছে। যার ভাড়া বাবদ বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আয় করছে বাংলাদেশ। কোনো কোনো সরঞ্জামের ভাড়ার আয়ে কেনা দাম উঠে গেছে অনেক আগেই। সেন্ট্রাল আফ্রিকায় বাংলাদেশের কান্ট্রি সিনিয়র কর্নেল খন্দকার আলী রেজা বলেন, আমরা এখন দেশ থেকে অনেক সাপোর্ট পাচ্ছি। সরঞ্জামের দিক থেকে অনেক সহায়তা পাচ্ছি। ভালো ভালো সরঞ্জাম দিয়ে আমাদের সুরক্ষিত করা হচ্ছে। ফলে আমাদের প্রফেশনালিজমটা ডিসপ্লে করতে পারছি। সূত্র: বিডি প্রতিদিন

Print Friendly, PDF & Email

এ জাতীয় আরও খবর

বিরূপ আবহাওয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গ্রীষ্মকালীন তরমুজের ব্যাপক ক্ষতি

কাজ অসমাপ্ত রেখেই চলে আসতে বাধ্য হয়েছি: এসকে সিনহা

পৃথিবীতে ফিরলেন ৩ মহাকাশচারী!

তিন সিটি নির্বাচনে বিএনপির ওপর জামায়াতের চাপ

পাঠক মতামত: কোন বিচারক খালেদা জিয়াকে জামিন দিতে পারবে না’

মালয়েশিয়ায় বৃহত্তর বরিশাল সমিতির উদ্যোগে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত