মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর হত্যাকাণ্ড চলছেই
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নিন্দা ও প্রতিবাদ সত্ত্বেও মিয়ানমারে রোহিঙ্গাসহ বিভিন্ন সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীকে হত্যা এবং তাদের বসতবাড়ি থেকে জোরপূর্বক তাড়িয়ে দেয়ার অভিযান চরম পর্যায়ে চলে গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ধর্মীয় স্বাধীনতাবিষয়ক প্রতিবেদনে মঙ্গলবার এমন কথাই বলা হয়েছে।
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূতরা প্রতি বছর এ প্রতিবেদন তৈরি করেন। পৃথিবীর প্রায় ২০০ দেশ ও ভূখণ্ডের ধর্মীয় স্বাধীনতা পর্যবেক্ষণ করে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
এতে বলা হয়েছে, দেশটির রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলমানদের বিরুদ্ধে সহিংসতা জাতিগত নির্মূলের শামিল। এতে শান্তিতে নোবেলজয়ী মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চির সুনাম ক্ষুণ্ন হয়েছে।-খবর নিউইয়র্ক টাইমস ও এএফপির।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, মিয়ানমারজুড়ে অসংখ্য রোহিঙ্গাকে বসতবাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। যাদের সঠিক হিসাব জানা নেই। এতে ছয় লাখ ৮৮ হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।
এ ছাড়া কাচিনপ্রদেশে সংখ্যালঘু খ্রিস্টানদের বিরুদ্ধে দ্বিগুণ শক্তিতে নতুন করে দমনপীড়ন অভিযান শুরু করেছে।
আরও : ঈদের প্রস্তুতি
সেখানে গত কয়েক দশক ধরে বিদ্রোহীদের সঙ্গে সরকারি বাহিনীর লড়াই চলছে। কিন্তু ২০১১ সালে তা আরও মারাত্মকভাবে শুরু হয়েছে।
জাতিসংঘের হিসাবে, এ লড়াইয়ের ফলে কাচিন ও শানপ্রদেশে এক লাখেরও বেশি বেসামরিক নাগারিক বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
রাষ্ট্রদূত স্যাম ব্রোনব্যাককে সঙ্গে নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও মঙ্গলবার এ বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেন।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতাবিষয়ক রাষ্ট্রদূত হলেন কানসাসের সাবেক গভর্নর ব্রোনব্যাক।
পম্পেও বলেন, তিনি আগামী জুলাইয়ের শেষ দিকে ওয়াশিংটনে ধর্মীয় স্বাধীনতাবিষয়ক একটি আন্তর্জাতিক সিম্পোজিয়ামের আয়োজন করবেন।
তিনি বলেন, ধর্মীয় স্বাধীনতা প্রকৃতপক্ষেই সার্বজনীন মানবাধিকার। আমি সেই স্বাধীনতার জন্য লড়াই করে যাব।