ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাদুকা তৈরী কারিগররা শেষ সময়ে মহাব্যস্ত
আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া
মে ৩০, ২০১৮
তৌহিদুর রহমান নিটল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া : পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে রাত-দিন ব্যস্ত সময় পাড় করছেন ব্রাক্ষনবাড়িয়ার পাদুকা কারিগররা আর এতে করে জমজমাট হয়ে উঠেছে এখানকার পাদুকা বাজার। এক হিসাবে এ শিল্পে জেলার বিভিন্ন স্হানে এই কাজে নিয়োজিত আছেন প্রায় ১০ হাজার শ্রমিক। এখন জেলার বেশির ভাগ কারখানায় দিন-রাত মহা ব্যস্ত সময় পার করছে তারা। অনেকটাই যেন নিদ্রা হারা হয়ে পড়েছেন অনেক পাদুকা কারিগররা। সারাবছরের বিশেষ এই সময়ে বাজারে অতিরিক্ত চাহিদা মেটাতে কারিগরা দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছে। মালের গুনগতমান ও টেকসই ভাল হওয়ায় ব্রাহ্মনবাড়িয়ার পাদুকা নিজস্ব স্বকিয়তা লাভ করেছে সারাদেশে। পাদুকা শিল্পীদের মতে, ঈদে ভোক্তাদের চাহিদা অনুযায়ী জুতা সরবরাহ করার মাধ্যমে তারাও ভাগ করে নিতে চায় ঈদের আনন্দ। স্বাধীনতার পরপরই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পাদুকা শিল্পের যাত্রা শুরু। ক্রমান্বয়ে জেলা সদরের গন্ডি পেরিয়ে সবকটি উপজেলায় তা ছড়িয়ে পড়ে।
বর্তমানে জেলা শহরে ৬৩ টি আর সবমিলিয়ে সমস্ত জেলায় ছোট-বড় অন্তত ৩ শতাধিক পাদুকা তৈরীর কারখানায় রয়েছে। এসব কারখানায় কাজ করছে প্রায় দশ সহস্রাধিক শ্রমিক। ঈদকে সামনে রেখে একেবারে শেষ সময়ে প্রতিদিন প্রায় আট/দশ হাজার জোড়া পাদুকা উৎপাদিত হচ্ছে এখানে গড়ে। উৎপাদিত জুতা তাৎক্ষনিক ডেলিভারী দেয়া হচ্ছে পাইকারদের কাছে। কুমিল্লা, সিলেট, নোয়াখালী, চট্রগ্রাম, বগুড়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের পাইকাররা নিয়ে যাচ্ছে এসব পাদুকা । বাহারি ডিজাইন, গুনগত মান এবং দাম তুলনামূলক কম হওয়ায় দারুন চাহিদা এখানকার পাদুকার। আর সুনাম ছড়িয়েছে সূদুর বিদেশেও। এছাড়া কিছু কিছু কারখানায় আধুনিক মেশিনের মার্ধ্যমে ভারত ও চীন দেশে তৈরী জুতোর ডিজাইন ও মানের সাথে তুলনা দিয়ে তৈরী হচ্ছে উন্নত মানের জুতো। যা বাজারে অনেক ক্রেতাকে আকৃষ্ঠ করছে।
কয়েকজন পাদুকার কারখানার মালিক বলেন, সারা বছর আমরা যে জুতো তৈরী করি কিন্তু বাস্তব প্রতি বছর রমজানের শুরু থেকেই আমাদের কারিগরদের ব্যস্ততা অনেকটাই বেড়ে যায়। এ সময়ে উৎপাদনও কয়েকগুন বেড়ে যায় ।তবে এবছর অন্য বছরের চেয়ে জুতোর পাইকারি বাজারে বেচাকেনা অনেক ভাল।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পাদুকা শিল্প মালিক সমিতির সভাপতি কাজী শফি উদ্দিন বলেন,সরকারী পৃষ্ঠাপোষকতা পেলে এ শিল্পকে আন্তর্জাতিক বাজারে পৌছে দেয়া সম্ভব।