উৎপাদন শুরু করছে মেঘনা অর্থনৈতিক অঞ্চলের ৮ কারখানা
নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলায় মেঘনা ইন্ডাস্ট্রিয়াল অর্থনৈতিক অঞ্চলে তিনটি কারখানা চালু হতে যাচ্ছে আগামীকাল শনিবার। বেভারেজ, স্টিল ফ্যাব্রিকেট এবং সিমেন্ট ফাইবার এই তিন শিল্পপ্রতিষ্ঠানে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু হবে ওই দিন থেকে। উদ্বোধন করবেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এ ছাড়া মেঘনা শিল্প অর্থনৈতিক অঞ্চলে চালু হচ্ছে পাঁচটি কারখানা। সেগুলো হলো পাল্প অ্যান্ড পেপার মিল, অয়েল রিফাইনারি, আটা ও ডাল মিল, কেমিক্যাল শিল্প ও বিদ্যুৎকন্দ্র স্থাপন। সব মিলিয়ে মেঘনা নদীর পাড় ঘিরে মেঘনা গ্রুপের দুটি অর্থনৈতিক অঞ্চলে মোট আটটি কারখানা চালু হবে শনিবার। এগুলো উদ্বোধন করবেন অর্থমন্ত্রী।
বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে দুটি অর্থনৈতিক অঞ্চল করছে মেঘনা গ্রুপ। বেজা থেকে দুটির চূড়ান্ত লাইসেন্সও দেওয়া হয়েছে। মেঘনা ইন্ডাস্ট্রিয়াল অর্থনৈতিক অঞ্চল হচ্ছে ১১০ একর জায়গার ওপর। আর মেঘনা অর্থনৈতিক অঞ্চল ২৪৫ একর জমির ওপর গড়ে উঠছে।
মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল বলেন, অর্থনৈতিক অঞ্চলে মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ কাগজ ও টিস্যুর মিল, ভোজ্য তেল পরিশোধনাগার, আটা ও ডাল মিল, কেমিক্যাল প্লান্টসহ বেশ কয়েকটি কারখানা স্থাপন করেছে। তিনি বলেন, অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিস্কুট ও নুডলস, প্যাকেজিং, স্যানিটারি ন্যাপকিন ও বেবি ডায়াপার উৎপাদনের কারখানা স্থাপনের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। মেঘনা শিল্প অর্থনৈতিক অঞ্চলে এখন পর্যন্ত দুই হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে এবং শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো পুরোদমে উৎপাদন শুরু করলে ১০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে। এখন পর্যন্ত ৮টি শিল্পপ্রতিষ্ঠানে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
২০১০ সালে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) প্রতিষ্ঠার পর থেকে বেজা দ্রুত শিল্পায়নের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী বেজা ২০৩০ সালের মধ্যে ১০০টি ইকোনমিক জোন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এক কোটি লোকের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। বেজা এরই মধ্যে ১৭টি প্রতিষ্ঠানকে প্রাকযোগ্যতা পত্র ও ৬টি অর্থনৈতিক অঞ্চলকে চূড়ান্ত লাইসেন্স প্রদান করেছে। এবং এর মধ্যে মেঘনা গ্রুপকে ২টি লাইসেন্স ও ১টি প্রি-কোয়ালিফিকেশন পত্র ইস্যু করা হয়েছে।