এক সেতুতে মুক্তি মিললো বাঞ্ছারামপুর-হোমনা-মুরাদনগর উপজেলার ১০ লাখ মানুষের
---
সালমা আহমেদ, বাঞ্ছারামপুর : বাড়ি থেকে বের হলেই বিদ্যালয়। দেখা যায়, কিন্তু সরাসরি যাওয়া যায় না। কারণ, মাঝখানে তিতাস নদ।
জান্নাতে নূর প্রিয়ন্তির বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ফরদাবাদ ইউপির ভূড়ভূড়িয়া গ্রামে।তার ইচ্ছে এইচ এসসি পড়বে আবদুল মজিদ কলেজে।কিন্তু,তার বাবা-মা তাকে স্বনামধন্য কলেজে ইচ্ছে থাকা সত্বেও ভর্তি করাতে চায় না স্রেফ নদী পাড়াপাড়ের কারনে।খেয়া পাড় ,বাশের সাকো,তারপর বর্ষায় নৌকায় যাতায়াত।অথচ দূরত্ব মাত্র এক কিলোমিটারের মতো হবে।কিন্তু,রাস্তা পারাপারে শত বিপত্তির কারনে প্রিয়ন্তির আর পড়া হয়না পছন্দের সেরা কলেজটিতে।
আবার,শাকিব মুরাদনগর উপজেলার শেষপ্রান্ত রামচন্দ্রপুরে বসবাস করে।তার বাবা নেই।মা-ই তার সব।বাড়িতে মুরগীর খামার আছে।সেই সেটি পরিচালনা করে।সংসারে আর্থিক সহায়তা তার ভূমিকা আনেক।তার ইচ্ছে আর্থিক স্বচ্ছলতা ধরে রাখতে কুমিল্লার হোমনা উপজেলার রামকৃষপুর ডিগ্রী কলেজ বা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ফরদাবাদের ড. রওশন আলম কলেজে ভর্তি হয়ে পড়াশুনার পাশষাপাশি নিজের গড়া মুরগীর খামারটি দেখভালের।এবার তার আশা পুরন হচ্ছে।এ বছর ওয়াই সেতু হবার কারনে সে মাত্র ৮ থেকে ১০ মিনিটে নিজের সাইকেল চালিয়ে রামচরন্দ্রপুর থেকে রামকৃষপুর কলেজে ক্লাশ করতে চলে আসছে।সে ধন্যবাদ জানায় ওয়াইসেতুকে।
এ বিষয়ে হোমনা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি,পপি লাইব্রেরীর কর্ণধার ও বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অ্ধ্যাপক আব্দুল মজিদ বলেন,-ওয়াই সেতুর কারনে ব্যবসা-বানিজ্যের পাশপাশি শিক্ষার্থীদের জন্য দ্বার উন্মুক্ত হয়েছে।ছাত্র-ছাত্রীরা এখন আর ভোর বেলায় বই-খাতা হাতে নিয়ে ১০টার ক্লাশ ধরতে ছুটতে হচ্ছে না ।ভৌগলিক কারনে জেলা দুটি (ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর ও কুমিল্লার হোমনা ও মুরাদনগর উপজেলা)সহ ৩টি পাশাপাশি উপজেলা হবার কারনে স্থানীয় শিক্ষার্থীরা এখন মাত্র দশ মিনিটেি বিভিন্ন বয়স শ্রেনীর শিক্ষার্থীরা তাদের পছন্দসই স্কুলে ভর্তি হতে পারছে।এতে শিক্ষারমানের উন্নতি ঘটবে,শিক্ষার্থী বাড়বে,শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো-ও সুশৃংখলভাবে তাদের শিক্ষার্থীদের কলকাকলীতে স্কুল ক্যাম্পাস মুখরিত থাকবে।