g ‘আমাদের যেমন দায়িত্ব আছে সরকারেরও কিছু দায়িত্ব আছে’ | AmaderBrahmanbaria.Com – আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া

বুধবার, ১৯শে জুলাই, ২০১৭ ইং ৪ঠা শ্রাবণ, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

‘আমাদের যেমন দায়িত্ব আছে সরকারেরও কিছু দায়িত্ব আছে’

AmaderBrahmanbaria.COM
জুলাই ১৬, ২০১৭

---

নিজস্ব প্রতিবেদক : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পরিপূর্ণভাবে আমাদের উপরে দায়িত্ব নির্ধারণ করা আছে এবং আমাদের দায় কি সেটাও আইন দ্বারা নির্ধারণ করা আছে। লেভেল প্লেইং ফিল্ডের ব্যাপারে আমাদের কিছু যেমন দায়িত্ব আছে আবার সরকারের ও কিছু দায়িত্ব আছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা।

রবিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিউট সম্মেলন কক্ষে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সব রাজনৈতিক দলগুলোকে যদি মিটিং মিছিল করতে না দেয়া হয় তাহলে কিভাবে লেভেল প্লেইং ফিল্ড তৈরি হবে এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, আমাদের যে কাজ সেটা আইন দ্বারা নির্ধারণ করা আছে। নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য কি কাজ আমাদের করতে হবে তা আইনে উল্লেখ করা আছে। আমরা সে কাজ গুলোই করে যাব। সুতরাং আমাদের দায়িত্ব হলো নির্বাচনের জন্য আমাদের যে আইন শৃঙ্খলাবাহিনী নিয়োগ, যারা নির্বাচন করতে চায় সকলকে সমান সুযোগ সুবিধা প্রদান করে দেয় এবং নির্বাচনের সকল নিরাপত্তার বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করা। এগুলো আমাদের করণীয় আছে।

আমরা সরকারের কাছে লেভেল প্লেইন ফিল্ডের ব্যাপারে শুধুমাত্র তফসিল ঘোষণার পরই বলতে পারবো। কিন্তু এখন এই মুহূর্তে কোনোভাবেই আমরা সরকারের কাছে কোনো অনুরোধ বা প্রভাব বিস্তার করতে পারিনা। কারণ নির্বাচনী আইনে আমাদের সেই ক্ষমতা নেই। আমাদের পরিপূর্ণ এখতিয়ার শুরু হবে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর থেকে। এর আগে সরকার কিভাবে কাজ করবে তা নির্বাচন কমিশনের দেখার সুযোগ নেই। নির্বাচনকে সুষ্ঠু করার লক্ষে যে সকল আইন কানুন দরকার আর আমাদের আইনে যা আছে সেটিই যথেষ্ট।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের কাজ মোস্টলি টেকনিকেল। এটা একেবারে বিধিবদ্ধ বিষয়। সকল রাজনৈতিক দলকে আমরা আমাদের এখানে আসার জন্য আহ্বান জানাবো। তারা এখানে আসবেন। আমরা তাদের সাথে নির্বাচনের সকল বিষয় নিয়ে আলাপ আলোচনা করবো। একজন ভোটার কিভাবে ভোট দিবে, তার নিরাপত্তাসহ সকল নির্বাচনী বিষয় আমরা দেখব।

তবে বাইরে রাজনৈতিকভাবে পল্টন অথবা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেকে কিভাবে বক্তব্য দিবে, মিটিং করতে পারবে, কিনা সেটা তো আমাদের দেখার বিষয় না। সিডিউল ঘোষণার পর নির্বাচন কমিশনের আওতায় নির্বাচনকে ব্যর্থ করে এমন কোনো বিষয় ঘটলে তার জন্য আমাদের আইন আছে। তখন আমরা প্রয়োজন বোধে সেই আইনের প্রয়োগ ঘটাবো। তবে মনে রাখতে হবে সেটা শুধুমাত্র নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর।

নির্বাচনকালীন সময় বর্তমান কমিশন সহায়ক সরকারে দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম কিনা জানতে চাইলে নুরুল হুদা বলেন, যদিও নির্বাচনের সময় প্রশাসনের যে দায়িত্বে তা নির্বাচন কমিশনের উপর দেয়া হয়। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে নির্বাচনের ১৫ দিন পর পর্যন্ত প্রশাসনের সকল দায়িত্ব কমিশনের হাতে থাকে। তবে সরকারের কাঠামো কিভাবে হবে। এটা তো আমাদের বলার বিষয় নয়, কারণ এখানে সাংবিধানিক বিষয় আছে, অন্যান্য আইন আছে সেই আইনের অবস্থানে সরকার কিভাবে থাকবে সেটা তো নির্ধারণ করবে সরকার।

বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সাথে আলাপে যদি ই ভোটিং বিষয়টি চলে আসে তাহলে এই স্বল্প সময়ে আপনারা কি এই পদ্ধতি চালু করতে পারবেন কি না জানতে চাইলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, নির্বাচনে আমরা ই ভোটিং সিস্টেমটি বাদ দেইনি। তবে সকল রাজনৈতিক দলের সাথে আলাপের পর স্বল্প সময়ের মধ্যেও যদি এটা প্রয়োজন হয় তাহলে আমরা আমাদের সাধ্য অনুযায়ী চেষ্টা করবো এবং প্রয়োজনে সরকারের সহযোগিতা চাইব।

আসন্ন জাতীয় একাশদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জামায়েতে ইসলামী দল (জামায়াত) অংশ গ্রহণ করতে পারবে কি না জানতে চাইলে সিইসি বলেন, এটা আমাদের দেখার বিষয় নয়, এটা হাইকোর্টের বিষয়। হাইকোর্ট যদি তাদের নিবন্ধন বাতিল করে দেয় সেখানে আমাদের করার কিছুই নেই।