g শ্রীলঙ্কার রেকর্ড জয়ে হলো না জিম্বাবুয়ের ইতিহাস | AmaderBrahmanbaria.Com – আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া

বৃহস্পতিবার, ২০শে জুলাই, ২০১৭ ইং ৫ই শ্রাবণ, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

শ্রীলঙ্কার রেকর্ড জয়ে হলো না জিম্বাবুয়ের ইতিহাস

AmaderBrahmanbaria.COM
জুলাই ১৮, ২০১৭

---

স্পোর্টস ডেস্ক : কলম্বো টেস্টের শেষদিন ছিল রোমাঞ্চের অপেক্ষায়। পরিসংখ্যান কিন্তু ছিল জিম্বাবুয়ানদের পক্ষে। তাই কিছুটা হলেও নির্ভার ছিল তারা। কারণ ভারত মহাসাগরের অবস্থিত এ দ্বীপে ৩৮৮ রানের টার্গেটে নেমে জেতার রেকর্ড কারও নেই। তবে সব শঙ্কাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে শ্রীলঙ্কা ম্যাচটি জিতে নিল ৪ উইকেটে। দ্বিতীয় সেশন শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ আগে ৬ উইকেট হারিয়ে ৩৯১ রান করে দিনেশ চান্ডিমালের দল। একমাত্র টেস্ট জিতে ৩-২ এ ওয়ানডে সিরিজ হারের ব্যথা কিছুটা হলেও কমাল লঙ্কানরা।

পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ জয়ের পর একমাত্র টেস্টেও শ্রীলঙ্কাকে হারানোর স্বপ্নই দেখছিল জিম্বাবুয়ে। মঙ্গলবার পঞ্চম দিন সেই স্বপ্ন পূরণের জন্য নেমেছিলেন গ্রায়েম ক্রেমাররা, দরকার ছিল তাদের ৭ উইকেট। আর রেকর্ড লক্ষ্য তাড়া করতে নামা শ্রীলঙ্কার প্রয়োজন তখনও ২১৮ রান।

৩ উইকেটে ১৭০ রানে সকালে খেলতে নামে শ্রীলঙ্কা। ৬০ রানে অপরাজিত ছিলেন কুশল মেন্ডিস, আর সাবেক অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ খেলছিলেন ১৭ রানে। তাদের ব্যাটে আশার আলো দেখছিল স্বাগতিকরা। কিন্তু দিনের ষষ্ঠ ওভারে মেন্ডিসের বড় উইকেটটি তুলে নেন ক্রেমার। প্রতিপক্ষ অধিনায়কের লেগব্রেক গুগলিতে সুইপ করতে গিয়ে মিড অনে শন উইলিয়ামসের হাতে ক্যাচ তুলে দেন এ টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান। ৬৬ রানে এমন আউট হওয়ায় নিজের চোখকে বিশ্বাস করাতে পারছিলেন না ধীর ইনিংস খেলতে থাকা মেন্ডিস।

আধ ঘণ্টা পার হতে শ্রীলঙ্কার আরও একটি উইকেট নিয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে থাকে জিম্বাবুয়ে। ক্রেমারের ফুল বলটি সোজা তার হাতে তুলে দেন ম্যাথুজ। ২৫ রানে সাজঘরে ফেরেন সাবেক অধিনায়ক। ২০৩ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বিপদের আভাস পেতে থাকে শ্রীলঙ্কা। তবে তাদের টেনে তোলে ষষ্ঠ উইকেট জুটি।

নিরোশান ডিকবিলা ও আসেলা গুনারত্নের সাবধানী ব্যাটিংয়ে ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ায় স্বাগতিকরা। ১২১ রানের দুর্দান্ত এক জুটি গড়ে যখন উইকেটের পেছনে রেজিস চাকাভার গ্লাভসে ডিকবিলা বল তুলে দেন, ততক্ষণে অস্বস্তি কেটে গেছে শ্রীলঙ্কার। ১১৮ বলে ৬ চারে ইনিংস সেরা ৮১ রানে ক্রিজ ছাড়েন এ উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। তখনও শ্রীলঙ্কার দরকার ৬৪ রান, আর জিম্বাবুয়ের প্রয়োজন ছিল ৪ উইকেট। তবে ডিকবিলার তৈরি করা পথে হাঁটতে গিয়ে আর হোঁচট খায়নি স্বাগতিকরা। যদিও ক্রেমার তার শেষ কয়েক ওভারে ভালো সুযোগ পেয়েছিলেন সপ্তম জুটি ভাঙার। কিন্তু ম্যাচে নিজের দশম উইকেট নিতে সফল হননি সফরকারী অধিনায়ক।

দিলরুয়ান পেরেরাকে নিয়ে অপরাজিত ৬৭ রানের জুটি গড়ে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন গুনারত্নে। ১১৫তম ওভারের পঞ্চম বলে উইলিয়ামসকে একটি বাউন্ডারি মেরে জয়সূচক রান নেন পেরেরা। ৭৬ বলে ২৯ রান করেন তিনি। ১৫১ বলে ৬ চারে দ্বিতীয় ইনিংস সেরা ৮০ রানে অপরাজিত ছিলেন গুনারত্নে।

দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেট নিয়ে জিম্বাবুয়ের সেরা বোলিং পারফরম্যান্স করেন ক্রেমার। ২টি পান উইলিয়ামস। ৬ উইকেটের সবগুলো দুজনে ভাগ করে নিলেও তারাই দিয়েছেন প্রায় তিনশ রান। ক্রেমার দিয়েছেন ১৫০ রান, আর ১৪৬ রান এসেছে উইলিয়ামসের ওভারে।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

জিম্বাবুয়ে- ৩৫৬ ও ৩৭৭

শ্রীলঙ্কা- ৩৪৬ ও ১১৪.৫ ওভারে ৩৯১/৬ (মেন্ডিস ৬৬, ডিকবিলা ৮১, গুনারত্নে ৮০*, পেরেরা ২৯*; ক্রেমার ৪/১৫০, উইলিয়ামস ২/১৪৬)

ফল- শ্রীলঙ্কা ৪ ‍উইকেটে জয়ী

ম্যাচসেরা- আসেলা গুনারত্নে (শ্রীলঙ্কা)

সিরিজসেরা- রঙ্গনা হেরাথ (শ্রীলঙ্কা)

সিরিজ- এক ম্যাচের সিরিজ ১-০ তে শ্রীলঙ্কার জয়। ক্রিকইনফো