শুক্রবার, ৭ই জুলাই, ২০১৭ ইং ২৩শে আষাঢ়, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

ভলাকুটে ভিজিএফের গম ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ

AmaderBrahmanbaria.COM
জুলাই ১, ২০১৭

---

আকতার হোসেন ভুইয়া , নাসিরনগর : নাসিরনগরের ভলাকুটে ঈদ উপলক্ষে বিশেষ ভিজিএফের গম বিতরণে কম দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার ভলাকুট ইউনিয়নের অসহায় দুঃস্থদের মধ্যে গম বিতরণ করা হয়। আজ শনিবার সরকারি ছুটির দিনে ট্যাগ অফিসারের অনুপস্থিতে সকালে তিনি গম বিতরণ শুরু করেন।সরকারি কর্মকর্তা না থাকার সুযোগে জনপ্রতি ১৩.২৭৫ কেজির স্থলে সাড়ে ১০ কেজি করে দেয়া হয়েছে । সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়,ভলাকুট ইউনিয়নের অসহায় দুঃস্থদের মধ্যে ১৩.২৭৫ কেজি করে ভিজিএফের গম বিতরণের কথা ছিল ঈদের আগেই। গুদামে গমের সংকট থাকায় ইউনিয়নে পৌঁছাতে দেরি হওয়ায় ঈদের ছুটির পরেই তা বিতরণের সিদ্ধান্ত নেয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।সেই অনুযায়ী ট্যাগ অফিসারের উপস্থিতিতে বরাদ্দকৃত প্রায় ২১ টন গম বিতরণের কথা। কিন্তু আজ শনিবার ছুটির দিন থাকায় ট্যাগ অফিসারের অনুপস্থিতে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও সচিব সকালে ইউনিয়নের অসহায় দুঃস্থ এক হাজার ৫৯২টি পরিবারের মধ্যে গম বিতরণ শুরু করেন। চেয়ারম্যান ও সচিব জনপ্রতি ১৩ কেজির স্থলে সাড়ে ১০ কেজি করে গম বিতরণ করতে থাকলে দুস্থদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে তা গণমাধ্যম কর্মীসহ উপজেলা প্রশাসনের নজরে আসে। দুপুরে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়,ভলাকুট বাজারের একটি দোকান ঘরে ১৩.২৭৫ কেজি গম নেয়ার জন্য অসহায় দুঃস্থরা দাঁড়িয়ে আছে। আবার অনেকে বস্তায় করে সাড়ে ১০ কেজি করে গম নিয়ে চলে যাচ্ছে। স্থানীয় এক ইউপি সদস্য ও গম নিতে আসা কয়েকজন অসহায় দুঃস্থ নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সামছু তালুকদার ও ইউপি সচিব অসিম কর নিজে দাঁড়িয়ে গম বিতরণ করছেন। নিজের লোক দিয়ে একটি বালতিতে করে সাড়ে ১০ কেজি হারে অসহায় দুঃস্থদের মধ্যে দেয়া হচ্ছে।
মাপে গম কম দেয়ার বিষয়ে ভলাকুট ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সামছু তালুকদার বলেন, আমি সবাইকে ১৩ কেজি করে গম দিয়েছি। কাউকে কম দেয়া হয়নি।১৩ কেজির স্থলে সাড়ে ১০ কেজি করে গম পেয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, এসব অভিযোগ সঠিক নয়। তবে উপস্থিত সচিব এবিষয়ে কোন সদোত্তর দিতে পারেননি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ লিয়াকত আলী বলেন,এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ জাতীয় আরও খবর