১৪ শিয়া মুসলমানের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করছে সৌদি
---
আন্তর্জাতিক ডেস্ক :রাজনৈতিক বিক্ষোভ দেখানোর দায়ে অবিলম্বে ১৪ শিয়া মুসলমানের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে যাচ্ছে সৌদি আরব। মঙ্গলবার এমনটিই জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন দুটির অভিযোগ, অত্যন্ত অন্যায় বিচারের মাধ্যমে এসব সাধারণ মানুষকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে রিয়াদ।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মধ্যপ্রাচ্য বিভাগের পরিচালক সারা লিয়া হুইটসন বলেন, সৌদি আরবে শিয়া জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে। এ থেকে বোঝা যায়, কথিত সন্ত্রাসবাদ দমন ও জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষার অজুহাতে সৌদি তার রাজনৈতিক বিরোধীদের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ জারি ও তা কার্যকর করছে।
মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানায়, দুই বছর আটক রাখার পর ৩৮ ব্যক্তির বিচার শুরু করেছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। এই দুই বছর তাদেরকে কারাগারের নির্জন কক্ষে রাখা হয় এবং পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে দেয়া হয়নি। এসময় নির্যাতনের মাধ্যমে এসব ব্যক্তির কাছ থেকে মিথ্যা স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়েছে।
অ্যামনেস্টির মধ্যপ্রাচ্য বিভাগের পরিচালক লিন ম্যালুফ বলেন, ভুয়া আদালতের মাধ্যমে যেভাবে মৃত্যুদণ্ড জারি হয়েছে, তাতে আন্তর্জাতিক বিচার প্রক্রিয়ার মাণদণ্ড নির্লজ্জভাবে লঙ্ঘিত হয়েছে। নিপীড়নের মাধ্যমে আদায় করা স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে মৃত্যুদণ্ড আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের পরিপন্থি। তিনি অবিলম্বে এসব মৃত্যুদণ্ডাদেশ বাতিলের আহ্বান জানান।
সৌদি আরবে শিরশ্ছেদ করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলো এর ঘোর বিরোধী। তাদের দাবি, এটা মানবাধিকার লঙ্ঘনের সামিল। ১৯৯৫ সাল থেকে প্রতি বছর শিরশ্ছেদের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। ২০১৫ সালে ৭১ বিদেশি নাগরিকসহ ১৫৩ জনকে শিরশ্ছেদ করেছিল সৌদি সরকার।
পরের বছর ২০১৬ সালের শুরুতেই শিয়া নেতা আয়াতুল্লাহ শেখ নিমর আল-নিমরসহ ৪৭ বিরোধী রাজনৈতিক নেতাকর্মীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। এতে বিশ্বজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। ওই ঘটনার একদিন পর ইরানে সৌদি দূতাবাসে হামলা চালানো হয়। সেই ঘটনার জেরে ইরানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে সৌদি আরব। সূত্র: হিউম্যান রাইটস ওয়াচ