g মেঘনায় সেতু নির্মাণের চুক্তিতে বাঞ্ছারামপুরে আনন্দ মিছিল | AmaderBrahmanbaria.Com – আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া

শুক্রবার, ২০শে অক্টোবর, ২০১৭ ইং ৫ই কার্তিক, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

মেঘনায় সেতু নির্মাণের চুক্তিতে বাঞ্ছারামপুরে আনন্দ মিছিল

AmaderBrahmanbaria.COM
জুলাই ১৩, ২০১৭

---

ফয়সল আহমেদ খান,বাঞ্ছারামপুর : সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রনালয়ের সেতু বিভাগ বাঞ্ছারামপুর-আড়াইহাজার-ঢাকা সড়কের তৃতীয় মেঘনা নদীতে সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়ায় বাঞ্ছারামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ আনন্দ মিছিল করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এ মিছিল করা হয়। মিছিলটি উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে উপজেলা শহরের প্রধান সড়কসমুহ প্রদক্ষিণ করে উপজেলা পরিষদে সভা করে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. সিরাজুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নূরুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল আউয়াল, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মিন্টু রঞ্জন সাহা, ভাইস চেয়ারম্যান জলি আক্তারসহ  আওয়ামী লীগ বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে উপস্থিত এলাকাবাসির মধ্যে মিষ্টি বিতরণ করা হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার কড়িকান্দি ও গোপালদী পয়েন্টে মেঘনা নদীর ওপর পৃথক তৃতীয় মেঘনা সেতু অবশেষে বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে। এতে আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে চীন। এ বিষয়ে গত শুক্রবার বাংলাদেশ ও চীনা পক্ষের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও স্থানীয় সংসদ সদস্য ক্যাপ্টেন এ বি তাজুল ইসলাম (অব.) জানিয়েছেন, তৃতীয় মেঘনা সেতু নির্মিত হলে সড়কপথে ঢাকার দূরত্ব কমবে সিলেটের সঙ্গে ২২ ও চট্টগ্রামের সঙ্গে ২৬ কিলোমিটার। প্রকল্পের অগ্রগতির বিষয়ে তাজুল ইসলাম বলেন, ‘অনেক দেনদরবার করার পর যখন দীর্ঘদিন ধরে দাতা সংস্থা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না,তখন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী আবুল হোসেনের সহায়তায় তখন বাংলাদেশে অবস্থানরত চীনা রাষ্ট্রদূত প্রকল্পে অর্থ সহায়তা দিতে রাজি হয়েছেন। মেঘনা নদীর ওপর ২ কিলোমিটার দীর্ঘ প্রস্তাবিত এ সেতুটি নির্মাণ করবে সেতু কর্তৃপক্ষ। সেতুটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রান্তে বাঞ্ছারামপুরের কড়িকান্দি এবং ঢাকার প্রান্তে থাকছে নারায়ণগঞ্জের গোপালদী। এ জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। সেতু নির্মাণের পর ঢাকা-চট্টগ্রাম-সিলেটের মধ্যে যাত্রী ও পণ্য পরিবহন সহজ হবে। এ ছাড়া ঢাকা থেকে কুমিল্লার তিতাস, হোমনা, মেঘনা, মুরাদনগর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর, নবীনগরে যানবাহন চলাচলে সময় কম লাগবে।

এ জাতীয় আরও খবর