আজ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস
---
আন্তর্জাতিক ডেস্ক :আজ সোমবার আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে কর্মরত শান্তিরক্ষীদের স্মরণে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও এই দিবসটি যথাযথ মর্যাদায় পালন করা হয়। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী বিশ্বের সকল দেশের শান্তিরক্ষীদের অসামান্য অবদানকে এই দিন গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন।
বাণীতে তারা জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে কর্মরত বিভিন্ন দেশের সকল সদস্যকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান। পাশাপাশি সেসব অকুতোভয় বীর সেনানী বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে শহিদ হয়েছেন তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বিশ্ব শান্তি, সম্প্রীতি ও সৌহার্দ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে পেশাদারিত্ব ও দায়িত্ব পালনে একনিষ্ঠতার ধারা অব্যাহত রাখতে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষী সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে আজ শান্তি ও সমপ্রীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসেবে পরিচিত। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে ১৯৮৮ সাল থেকে অংশ নিয়ে অদ্যাবধি বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী সদস্যরা সর্বোচ্চ পেশাদারি মনোভাব, আনুগত্য ও সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে চলেছেন। তাদের অনন্য অবদানের জন্য আন্তর্জাতিক পরিম-লে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে। সাথে সাথে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা একটি মর্যাদাপূর্ণ অবস্থান নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ আজ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশনে অন্যতম শীর্ষ শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ হিসেবে বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত। পেশাদারিত্বের পাশাপাশি অর্পিত দায়িত্বের প্রতি একনিষ্ঠতা বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের এই সাফল্য অর্জনে ভূমিকা রেখেছে।
প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে বলেন, বাংলাদেশের শান্তিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা তাদের দক্ষতা, পেশাদারিত্ব ও আন্তরিকতা দ্বারা সারা বিশ্বের শান্তিরক্ষায় আরও কার্যকর ভূমিকা রাখবেন। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা বাহিনীতে সৈন্য প্রেরণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বর্তমানে অন্যতম শীর্ষস্থানীয় দেশ। শান্তিরক্ষা মিশনে দায়িত্ব পালনকালে বাংলাদেশের সদস্যরা বিপদসঙ্কুল এবং সংঘাতপূর্ণ এলাকায় নিয়োজিত থাকেন। বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের দৃষ্টান্তমূলক সেবা, কঠোর পরিশ্রম, আত্মত্যাগ, নিঃস্বার্থ মনোভাব ও সাহসিকতা আজ বিশ্ব দরবারে প্রশংসিত।