মঙ্গলবার, ১৩ই জুন, ২০১৭ ইং ৩০শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

বিআরটিসির পাঁচ শতাধিক বাস অচল পড়ে আছে

AmaderBrahmanbaria.COM
মে ২৯, ২০১৭

---

নিউজ ডেস্ক : সরকারি প্রতিষ্ঠান বিআরটিসির পাঁচ শতাধিক বাস বিভিন্ন ডিপোয় দীর্ঘদিন অচল পড়ে আছে। বাড়তি জায়গা দখল করে থাকা এসব বাসের মধ্যে অধিক ঝুঁকিপূর্ণগুলো নিলামে তোলার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আর কম ঝুঁকিপূর্ণগুলো মেরামতের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিআরটিসি কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে নতুন ৬০০ বাস কেনার বিষয়টিও প্রক্রিয়াধীন বলে জানা গেছে।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিসি) সূত্র জানায়, সারা দেশে বিআরটিসির ২১টি ডিপোর মধ্যে ১৯টি বাসের। এখানে অকেজো ও অচল বাসগুলো রাখা হয়েছে। অধিক পুরোনো ও জরাজীর্ণ বাসের সংখ্যা ২৮৬ আর কম ঝুঁকিপূর্ণ আছে প্রায় ২৫০টি। সম্প্রতি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির বৈঠকে (একনেক) প্রধানমন্ত্রী অধিক পুরোনো ও জরাজীর্ণ বাসগুলো নিলামে তোলার বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে প্রচলিত নিয়ম মেনে এই নিলাম করা হবে। এ ছাড়া কম ঝুঁকিপূর্ণ বাসগুলো মেরামতের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিআরটিসি কর্তৃপক্ষ।

সরেজমিনে রাজধানীর কমলাপুর, মোহাম্মদপুর, কল্যাণপুর ও গাবতলী বাস ডিপোতে গিয়ে দেখা গেছে, সেখানে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে বিআরটিসির অচল বাসগুলো। কোনো কোনো বাসের কেবল বাইরের আবরণ আছে, অন্যান্য যন্ত্রাংশ খুলে পড়েছে। দুর্ঘটনার কবলে পড়ে কিছু কিছু বাস দুমড়ে-মুচড়ে পড়েছে। কিছু কিছু বাসের চাকা দেবে গেছে মাটির সঙ্গে।

জানতে চাইলে ডিপোতে থাকা কর্মচারীরা বলেন, দিন দিন অকেজো বাসের সংখ্যা বাড়ছে। এগুলো আলাদা করে যত্ন নেওয়ার মতো বাজেট বা লোকবল কোনোটাই নেই বিআরটিসির।

বিআরটিসির প্রশাসন বিভাগ থেকে জানা গেছে, বর্তমানে বিআরটিসির ১ হাজার ৫৩৬টি বাস আছে। এর মধ্যে সচল বাস এক হাজার। এগুলোর মধ্যে কিছু বাস বিশ্ববিদ্যালয়, সচিবালয়, সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি রাজধানীর বিভিন্ন গন্তব্যে চলাচল করে।

সার্বিক বিষয়ে বিআরটিসির চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান বলেন, অধিক ঝুঁকিপূর্ণ বাসগুলো খুব শিগগির নিলামে তোলা হবে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে নির্দেশনা পাওয়া গেছে। এ ছাড়া কম ঝুঁকিপূর্ণ বাসগুলো বরাদ্দ পেলেই মেরামত করা হবে।

বিআরটিসির একটি সূত্র জানায়, নিলামে পাওয়া অর্থ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা হবে। নিলাম হয়ে গেলে ডিপোগুলোতে আরও ফাঁকা জায়গার পরিমাণ বাড়বে। এই সময়ে আরও ৬০০ বিআরটিসির নতুন বাস কেনা হবে। এগুলোর কিছু বাস সারা দেশে দেওয়া হবে। আর কিছু বাস রাজধানীর বিভিন্ন গন্তব্যে চালু করা হবে। এতে রাজধানীবাসী নতুন কিছু বাস পেতে যাচ্ছে বলে জানায় বিআরটিসি কর্তৃপক্ষ।প্রথম আলো

তবে সবকিছু দেরি হওয়ার জন্য পর্যাপ্ত লোকবলের অভাবকেই দায়ী করলেন চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, যতগুলো বাস আছে বা অফিস আছে, তা ভালোভাবে পরিচালনার জন্য আরও বেশি জনবল প্রয়োজন। পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় সব কাজে এর প্রভাব পড়ছে। বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে দেরি হচ্ছে।