বৃহস্পতিবার, ১১ই মে, ২০১৭ ইং ২৮শে বৈশাখ, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

খালেদার ফটোগ্রাফারসহ ২৭ জনের যাবজ্জীবন

AmaderBrahmanbaria.COM
মে ৯, ২০১৭

নিজস্ব প্রতিবেদক : দীর্ঘ ২৭ বছর পর একটি হত্যা মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত ফটোগ্রাফার নূর উদ্দিন আহম্মদসহ ২৭ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

ময়মনসিংহে পথচারী হারুন-অর রশীদ হত্যা মামলায় মঙ্গলবার ঢাকার দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মমতাজ বেগম এ রায় দেন।

নূর উদ্দিন আহম্মদ ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন, আশরাফুল হক ওরফে আশরাফুল আলম, ওমর ফারুক, লিংকন, জালাল, সৈয়দ শামিম হোসেন, রহিম আহম্মদ, শামছুল ইসলাম, আবুল হোসেন, ফারুক আহম্মেদ, আকবর হোসেন, এরফানুর রহমান খান, সোলায়মান, জাহিদ, সাফায়াত উদ্দিন চৌধুরী, আব্দুর রশিদ, গোলাম রব, শিশির চৌধুরী, অ্যাপোলো হোসেন, আসলাম, ইলিয়াস হোসেন, হিরু মোহাম্মদ, লিয়াকত আলী, কাঞ্চন মিয়া, শেখ আশরাফ হোসেন, আনিছুর রহমান ও আবু তাহের।

এ মামলায় আশরাফুল হক, আব্দুর রশিদ ও নূর উদ্দিন আহম্মদ জামিনে ছিলেন। বাকি আসামিরা পলাতক। রায় ঘোষণার পর আদালত তিন আসামির বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা জারি করেন। বাকি পলাতক আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

রায়ে বলা হয়, পলাতক আসামিরা গ্রেফতার বা আত্মসমর্পণের তারিখ থেকে এ রায় কার্যকর হবে।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ১৯৯০ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহে ফ্রিডম পার্টির হামলায় পথচারী হারুন নিহত হন। ওই ঘটনায় নিহতের বোন-জামাই বাদী হয়ে মামলা করেন।

ওই বছরের ১০ জুলাই প্রথমে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি বজলুল হুদাকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় ফাঁসি কার্যকর হওয়া ফ্রিডম পার্টির নেতা মেজর (অব.) বজলুল হুদাকে বাদ দেওয়া হয়।

ময়মনসিংহ আদালতে মামলাটি ১৯ বছর ঝুলে ছিল। ২০১০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি সিআইডি সম্পূরক অভিযোগপত্র দেয়। পরে মামলাটি জনগুরুত্বপূর্ণ মামলা হিসেবে বিচারের জন্য ময়মনসিংহ আদালত থেকে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এ পাঠানো হয়।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, ১৯৯০ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহের পূরবী সিনেমা হল মোড়সংলগ্ন একটি চায়ের দোকানে ফ্রিডম পার্টির নেতা মেজর জয়নাল, মেজর বজলুল হুদা ও আশরাফুল আলমের নেতৃত্বে গুলি চালায় ফ্রিডম পার্টির নেতা-কর্মীরা। এতে ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ হয়ে স্থানীয় সেহড়া এলাকার যুবক হারুন মারা যান।

ওই ঘটনায় পথচারী জহুর আলী, মাহবুবুল, রামচন্দ্র, শামীম ও লিটন গুলিবিদ্ধ হন। আসামিরা গুলি বর্ষণের পর প্রাইভেটকারে পালিয়ে যাওয়ার সময় বজলুল হুদাসহ ফ্রিডম পার্টির ৩০ নেতা-কর্মীঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ত্রিশাল ও ভালুকায় ধরা পড়েন।